Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরস্বতীর মায়ের কাছে হাতেখড়ি


২২ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:৫০

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা : শিশু অনন্যার বয়স মাত্র তিন বছর। শীতের সকালে বাবা প্রদীপ কুমার বাকালীর সঙ্গে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের মাঠে। উদ্দেশ্য সরস্বতী দেবীর দর্শন ও হাতেখড়ি নেওয়া।

প্রদীপ কুমার বাকালী সারাবাংলাকে জানালেন, ‘আজকে শ্রী শ্রী সরস্বতী মায়ের পূজা। এই উপলক্ষে আজকে আমার মেয়ে তার হাতেখড়ি দিলো। হাতেখড়ির মাধ্যমে আমরা অনন্যার লেখা পড়া শুরু করবো। সরস্বতী মায়ের কাছে আশীর্বাদ চাচ্ছি অনন্যা যেনো ভালো ভাবে লেখা পড়া করতে পারে।’

ছবি: বাবার কোলে শিশু অনন্যা

বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর কাছে হাতেখড়ি নিয়ে বেশ উৎফুল্ল অনন্যা। আনন্দ প্রকাশ করলেন ছড়া শুনিয়ে, ‘মৌমাছি, মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই। ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে. দাঁড়াবার সময় তো নাই।’

সোমবার সকালে অনন্যার মতো অনেক শিশুকেই দেখা গেলো তারা সরস্বতী মায়ের কাছে হাতেখড়ি নিতে এসেছে।

ঢাবির দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্রী পৃথিলা পুজোর নিমন্ত্রণ দিয়ে বললেন, ‘সরস্বতী আমাদের বিদ্যার দেবী। আমরা তাই তার আরাধনা করি। প্রতি বছরের মতো এসময় আমরা পুজোর আয়োজন করি। আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’

সরস্বতী পূজার অভিজ্ঞতা নিয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আচল বনিক হৃদি বললেন, ‘ছোটো বেলা থেকে আমরা সরস্বতী পূজা করে আসছি। গ্রামে যেভাবে পুজো হয় এখন সেই আমেজটা নেই। তবে জগন্নাথ হলের প্রতীমাগুলোতে একটা ভিন্নতা আছে। তাই এখানে আসতে বেশ ভালো লাগে।’

তিনি আরও বলেন ‘বিদ্যার দেবীকে পূজার জন্যই আমরা আসি। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কাছে এই পূজাটি বিশেষ গুরুত্ব পায়। তবে সরস্বতী যেহেতু জ্ঞান, বিদ্যা ও সুরের দেবী তাই সবার কাছেই এই পুজো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

সরস্বতী পূজা সম্পর্কে পুরোহিত রনজিত চক্রবর্তী জানালেন, এই পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী মায়ের অর্চনা করা হয়। একে বলে বাণী অর্চনা। এই দিনে বিদ্যার মাতাকে স্মরণ করতে হয়। বিদ্যা লাভের জন্যই এই পুজো। এর মাধ্যমে আমরা সিদ্ধি লাভ করি।

এদিকে সারাদেশে বিপুল উৎসাহের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠেই বসানো হয়েছে ৬৩টি মণ্ডপ। এই মণ্ডপগুলোতে সকাল সোয়া ৯টা থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাজধানীসহ সারাদেশের মন্দির ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা।

সারাবাংলা/এজেডকে/এনএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

শরৎ বাংলাদেশের কোমল স্নিগ্ধ এক ঋতু
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৪

সম্পর্কিত খবর