Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রকৌশলীদের পদায়ন নিয়ে জটিলতা


১৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:৩৯

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও উচ্চ আদালতের নির্দেশ নিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাধারণ মানুষের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে সেই ১৯৩৬ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এর কর্ম পরিধি সম্প্রসারিত হতে থাকে।

কিন্তু জনবল কম থাকায় সম্প্রসারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন অধিদফতরের কর্মীরা। দীর্ঘদিন সরাসরি কোনো নিয়োগ না হওয়ায় বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক জনবল নিয়োগ এবং সরাসরি বিসিএস এর মাধ্যমে নন-ক্যাডারে পদায়ন হওয়া কর্মকর্তার মাধ্যমে অধিদফতরের কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হয়।

বর্তমানে অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত ক্যাডারভুক্ত ৯৪টি পদের মধ্যে ৯০টি পদই শূন্য। প্রধান প্রকৌশলীর পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর তিনটি পদের মধ্যে দুইটিই খালি। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর ১৪টি পদের মধ্যে দুইটি (খুলনা সার্কেল ও পরিকল্পনা সার্কেল) বাদে ১২টি পদেই অতিরিক্ত দায়িত্বের মাধ্যমে কাজ চালানো হচ্ছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর ৭৮ টি পদের মধ্যে ৭৬টিই বর্তমানে শূন্য।

অধিদফতরে ৭ থেকে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিপুল সংখ্যক প্রকৌশলী কর্মরত থাকার পরেও ক্যাডারভুক্তি না থাকার কারণে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে প্রশাসনিক কাঠামোতে চরম নাজুক পরিস্থিতির (শূন্যতার) সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এমন পরিস্থিতিতে অধিদফতরের সম্প্রসারিত কর্মপরিধি ও সীমিত সংখ্যক জনবলের বিষয় বিবেচনায় এনে স্থানীয় সরকার বিভাগ Bangladesh Civil Service (Engineering: Public Health) Composition and Cadre Rules, 1980 অধিকতর সংশোধন ও উক্ত পদসমুহে পদধারী স্থায়ী ও নিয়মিতিকৃত কর্মকর্তাকে ক্যাডারে অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

প্রস্তাবটিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি পরীক্ষণ সংক্রান্ত উপ-কমিটি, প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সুপারিশ, সরকারি কর্ম কমিশন এর মতামত, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ১৯৮০ এর তফশিল সংশোধন করে ক্যাডার পদসংখ্যা ১৩৬ থেকে ৩২৯ এ উন্নীত করা হয়। এই পদের ৯৫ জন র্কমর্কতাকে বিসিএস ক্যাডারে অর্ন্তভূক্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে করে দেশে পানি সরবরাহ ও স্যানটিশেন সেবায় নিয়োজিত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে বিরাজমান সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবল সংক্রান্ত সমস্যার প্রাথমিক সমস্যার সমাধান ঘটে।

কিন্তু এরপর এই অধিদফতরের ২১ জন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলায় হাইকোর্ট গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের ওপর চার মাসের স্থগিতাদেশ নে। পরবর্তীতে গত ৬ মার্চ সরকার পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত হাইকোর্ট বিভাগের স্থগিতাদেশ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করেন।

সামগ্রিক বিষয়টি আদালতে বিবেচনাধীন থাকা সত্তে্বও প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। যা একইসঙ্গে আদালত অবমাননার সামিল। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়অ হয়নি।

বিজ্ঞাপন

জারি করা ওই প্রজ্ঞাপনের সঙ্গে অধিদফতরের ১৫০জন প্রকৌশলীর মধ্যে প্রায় ১২৫ জন প্রকৌশলীর চাকরি সংক্রান্ত স্বার্থ জড়িত। ফলে তাদের সকলের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বেশকিছু কর্মসূচিও দিয়েছেন কর্মকর্তারা। এমনকি এর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর