ক্রাইস্টচার্চ হামলায় মারা গেছেন না.গঞ্জের ওমর ফারুক
১৭ মার্চ ২০১৯ ১৪:০৩
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
নারায়ণগঞ্জ: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর নিখোঁজ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ওমর ফারুক মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন পরিবারের সদস্যরা। ওমর ফারুক বন্দর রাজবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। তার মৃত্যু সংবাদে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নার রোল পড়েছে ওমর ফারুকের বাড়িতে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে তার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওমর ফারুকের স্ত্রী সানজিদা জামান নিহা জানান, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫১ মিনিটে স্বামীর সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ওমর ফারুকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ফারুক নিউজিল্যান্ড চলে যান। পরে গত বছরের ১৬ নভেম্বর তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। মাত্র দুই মাস আগে পুনরায় নিউজিল্যান্ড চলে যান ফারুক।
ফারুকের ভগ্নিপতি সারোয়ার হোসেন জানান, ওমর ফারুক নিউজিল্যান্ডের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করেন। তার পাসপোর্ট নাম্বার বিসি-০১৪৪৪১০। নিউজিল্যান্ডে থাকা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি এ বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। সেখানে ৪ জনের মৃত্যুর তালিকাতেও ওমর ফারুকের নাম রয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওমর ফারুকের পরিবারের খোঁজ খবর নিচ্ছি। মরদেহ দেশে আনাসহ যেকোনো ব্যাপারে তার পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।’
এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের সময় ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি পার্কের মসজিদ আল নূর ও শহরতলী লিনউডের মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারী এক যুবক। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৪৮ জন। উগ্রবাদী শ্বেতাঙ্গ ভাবাদর্শের অস্ট্রেলীয় যুবক ব্রেন্টন, ইউরোপের অভিবাসী মুসলিমদের ওপর ঘৃণার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
এদিন দেশটির পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেন, হামলার অভিযোগে আটক অন্যরা এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নাও হতে পারে। তবে আমি কোনো চূড়ান্ত মন্তব্য করবো না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মরদেহগুলো শনাক্ত করা হবে। সোমবার হামলাকারী যুবক ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে (২৮) আদালতে নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এমএইচ