২৫ জেলায় গণগ্রন্থাগার ক্যাম্পেইনের যাত্রা শুরু
১৯ মার্চ ২০১৯ ১৪:৪১
‘চলো গ্রন্থাগারে, চলো দেখি সম্ভাবনার আলো’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের ২৫টি জেলায় গণগ্রন্থাগার ক্যাম্পেইন যাত্রা শুরু করেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গণগ্রন্থাগারের সুফিয়া কামাল হল সম্মেলন কক্ষে এই ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইব্রেরিজের (আনলিমিটড) প্রোগ্রাম পরিচালক কার্স্টি ক্রফোর্ড। অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম, গণগ্রন্থাগার বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আ জ ম আব্দুল্লা হিল-বাকী।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সরকারি গ্রন্থাগার কর্মসূচিতে নতুন সেবা হিসেবে গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে ওয়াইফাই ইন্টারন্টেসহ কম্পিউটার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার কোডিং ও গ্রোগ্রামিং শেখার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য টয়ব্রিক সামগ্রীও রাখা হবে লাইব্রেরিতে।
এই পাবলিক লাইব্রেরি ক্যাম্পেইনটি ঢাকাসহ বাংলাদেশের যে ২৫টি জেলায় বাস্তাবায়িত হবে, সেগুলো হলো— ময়মনসিংহ, নোয়াখালী, জামালপুর, কুমিল্লা, মুন্সীগঞ্জ, কক্সবাজার, ফরিদপুর, রাঙ্গামাটি, গোপালগঞ্জ, বান্দরবন, টাঙ্গাইল, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, রংপুর, কুষ্টিয়া, নীলফামারি, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ ও দিনাজপুর।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকায় শুরু হলো এই গণগ্রন্থাগারের কার্যক্রম। আগামী ৬ ও ৭ এপ্রিল রংপুরে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শুরু হবে জেলাভিত্তিক কার্যক্রম। প্রতিটি জেলায় দুই দিন করে ক্যাম্পেইন করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণগ্রন্থাগার বাংলাদেশের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার বলেন, ক্যাম্পেইনের প্রতিপাদ্যে যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, সেটি সব ধরনের সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনার মধ্যে লুকিয়ে আছে চূড়ান্তভাব রাষ্ট্র উন্নয়নের সম্ভবনা। এই লাইব্রেরির মাধ্যমে আমরা যদি জ্ঞানমূলক সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারি, তাহলে এই জ্ঞান থেকে ব্যক্তির উন্নয়ন, ব্যক্তি থেকে সমাজের উন্নয়ন এবং চূড়ান্তভাবে সমাজ থেকে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব হবে।
আশীষ কুমার আরও বলেন, গ্রন্থাগারমুখী হওয়ার পাশাপাশি মানুষ যেন গ্রন্থাগার ব্যবহারে সচেতন হয়ে উঠতে পারে, সেজন্যই এই ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বারবারা উইকহ্যাম বলেন, বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের কার্যক্রম চলছে। আমরা একটি উন্মুক্ত, অংশগ্রহণমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনের জন্য সরকার ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সমন্বয় করে থাকি। আমাদের এই পাবলিক লাইব্রেরির ক্যাম্পেইন সেই উদ্যোগেরই অংশ। যার মাধ্যমে সরকারি গ্রন্থাগারে বিভিন্ন নতুন সেবা সম্পর্কে প্রচারের মাধ্যমে আমরা একবছরে অনেক নতুন পাঠক পাব বলে বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ হিল বাকী বলেন, আমাদের তরুণ ছেলে-মেয়েদের আমরা লাইব্রেরিতে ধরে রাখব। ফেসবুক-ইউটিউবের কারণে এখন ছেলে-মেয়েরা গ্রন্থাগারে কম যায়। আমাদের গণগ্রন্থাগার কার্যক্রমে ইন্টারনেটসহ অন্যান্য বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা লাইব্রেরিতে যেতে উৎসাহিত হবে। আমাদর লক্ষ্য হলো আমাদের মানুষ হতে হবে। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের লাইব্রেরিমুখী করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সারাবাংলা/কেকে/টিআর