‘মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলাকে এগিয়ে নিতে হবে’
১৯ মার্চ ২০১৯ ২২:২৩
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দাদা-বাবাদের আত্মত্যাদের কারণেই আজ আমরা ভালো আছি এবং আগামী দিনের স্বপ্ন বুনতে পারছি। আমাদের দাদা-বাবারা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে তার ভিত্তিও গড়ে গেছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ‘সোনার বাংলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভারত সরকারের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা সেতুবন্ধন গড়েছেন। আগামী দিনের ভবিষ্যত গড়তে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযোদ্ধারা কঠিন আত্মত্যাগ করেছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই এবং তারা পরলোকে যেন শান্তিতে থাকেন এই প্রার্থনা করছি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্মরূপ ভারত সরকার প্রতি বছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি দিয়ে আসছে। এই বিষয়ে দুইটি প্রকল্প একযোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীকে মোট ২৩ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ২০০৬ সালে ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ চালু করে। সেই সময় থেকে পুরনো প্রকল্পের অধীনে, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে ১৭ দশমিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, জানান রিভা গাঙ্গুলি দাস।
গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীকে ৩৫ কোটি টাকা দেওয়া হবে। প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
এই বছর ২ হাজার ২শ’ জন শিক্ষার্থী নতুন ও পুরনো প্রকল্পের অধীনে বৃত্তি লাভের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশর সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে ব্যাপক সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সাথে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির পরিমাণ সরাসরি জমা হবে।
সারাবাংলা/জেআইএল/এটি