দেশে হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
২০ মার্চ ২০১৯ ১৪:৫৬
ঢাকা: দেশে দারিদ্র্যের হার ২১ভাগে নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত হার আরও কম হবে। হতদরিদ্রের হার ১১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য আরও কমিয়ে আনা। হতদরিদ্র বলে কিছু থাকবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেটাই হবে আমাদের প্রতিজ্ঞা।’ বুধবার (২০মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কবরী হলে জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করা জাতীয় কর্তব্য বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী যেন একেবারে তৃণমূল পর্যন্ত উদযাপিত হয়, তার ব্যবস্থা নেবো। আমাদের যে অগ্রযাত্রা সেটা অব্যাহত রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ আমাদের জন্য খুবই অর্থবহ মাস। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষেত্রে আমাদের কী কী করণীয়? আমাদের সমাজের বিশিষ্টজন যারা এখানে উপস্থিত আছেন এবং আমরা ১০২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছি। হয়তো আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম আমাদের এই কিমিটিতে থাকা দরকার। সেভাবে থাকলে আমরা তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করব। এছাড়া ৬১সদস্যবিশিষ্ট আলাদা একটি কমিটি করে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নেবো, সেই সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাজ করবে। এছাড়া, বিভিন্ন ভাগে ভাগে কমিটি করা প্রয়োজন, সে ব্যাপারেও আপনাদের পরামর্শ নেবো। কারণ এটা আমরা জাতীয়ভাবে পালন করবো। এক্ষেত্রে আপনাদের অভিমত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দল হিসেবেও আওয়ামী লীগের একটা আলাদা কমিটি করেছি।’
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় এই দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কাটিছে। মানুষের ওপর অত্যাচার শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দিনের পর দিন কারাবরণ করেছে। আমরা সন্তান হিসেবে পিতৃস্নেহ বঞ্চিত হয়েছি। তিনি তার জীবনের মূল্যবান সময়গুলো ওই কারাগারে কাটিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘সে কষ্ট তিনি সহ্য করেছেন কার জন্য? এদেশের মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষের জন্য। সে জন্য তিনি তার জীবনের মূল্যবান সময় দেশের মানুষের জন্য কষ্ট স্বীকার করে গেছেন এবং সেই কষ্টের ফসল হিসেবেই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতির মর্যাদা।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সবার অভিমতের ভিত্তিতে বিভিন্ন উপ-কমিটি করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সেখানে আপনাদের দায়িত্ব দিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, সেটা আমরা নির্দিষ্ট করবো।,
সভা পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
সারাবাংলা/এনআর/এমএনএইচ