স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। শুধু তা-ই নয়, গ্রেনেড হামলায় আহতদের যেন চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ভোগান্তি না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহেই নীতিমালা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য কার্যালয়ে সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ২১ আগস্ট হামালায় আহতদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে উপাচার্য কামরুল হাসান খান এ ঘোষণা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে।’
কামরুল হাসান খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য যতটুকু করা সম্ভব তা করা হবে এবং সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এ জন্য চলতি সপ্তাহেই নীতিমালা করা হবে। আহতদের যাতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভোগান্তি না হয় তা নিশ্চিত করা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব বলেই মনে করি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ২১ আগস্ট বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন, পরিচালক (পরিদর্শন) ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, ২১ আগস্ট বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন নাজমুল, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামালায় আহত মো. বখতিয়ার জামান, কাজী বেলাল হোসেন, সাজেদুল আলম সবুজ, মো. সেলিম, মেহেরুন্নেছা মেরী।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ২১ আগস্ট বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামালায় আহতদের অনেকেই মৃত্যুযন্ত্রণা নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। আহতদের কারো কারো অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অন্য বক্তারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য তাদের মতামত দেন।
সারাবাংলা/জেএ/আইজেকে