সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ভোট পড়েছে ৮.৬৩ শতাংশ
২১ মার্চ ২০১৯ ১০:২৯
ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপের উপজলা পরিষদ নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায়। এই উপজেলায় ভোট দিয়েছেন মাত্র ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোটার। অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে। এতে ভোট পড়েছে ৭৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান আরজু সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইসির একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে মাত্র ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ভোট পড়ার এই হার প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়ে কম। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ৭৮টি উপজেলা নির্বাচন হয়। প্রথম ধাপের নির্বাচনে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছিল রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায়। এই উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারি উপজেলায়। এখানে ভোট পড়ার হার ছিল ৭১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ইসি সূত্র জানায়, এবার পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইসি ও সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে। ফলে নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। গত ১০ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনের তুলনায় গত ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরো কমে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশ। ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল: পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ৮১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৫৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন। আওয়ামী লীগের ৫৮ জনের মধ্যে ১৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ৪৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল: দ্বিতীয় ধাপের ১১৬ টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ৭৪ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৩ জন। অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপে জাতীয় পার্টির ২ জন ও স্বতন্ত্র ৩৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও দুইটি উপজেলার নির্বাচন ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
১৯৮৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ গঠিত হয়। ওই সময় দেশে উপজেলা ছিল ৪৬০টি।ফলে ১৯৮৫ ও ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন হয় ৪৬০টিতে। পরর্তীতে ২০০৯ সালে ৪৮১টি এবং ২০১৪ সালে ৪৮২টি উপজেলায় নির্বাচন হয়। বর্তমান দেশে উপজেলার সংখ্যা ৪৯২টি। এর মধ্যে গত ১০ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ৪৮০ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। প্রথম চার ধাপের ৪৬০টি উপজেলায় এবং পঞ্চম ধাপের ২০টি উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ১৮ জুন। বাকি ১২টি উপজেলায় মেয়াদ শেষ না হওয়া এবং আইনি জঠিলতা থাকায় এ বছর নির্বাচন করা যাচ্ছে না।
সারাবাংলা/জিএস/এসএমএন