Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খেলাপি ঋণ কমে ৯ থেকে ১১ শতাংশে নেমেছে’


২২ জানুয়ারি ২০১৮ ২১:৫২

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাংকিং খাতে কিছু সমস্যা রয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খেলাপি ঋণ। মোট ঋণের একটা বড় অংশ খেলাপি ঋণ। যা একটি দেশের জন্য খুবই খারাপ। আশার কথা হচ্ছে, এক সময় মোট ঋণের ৪০ শতাংশই ছিল খেলাপি। তবে বর্তমানে তা ৯ থেকে ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। আশা করছি আগামীতে আরও কমে আসবে।’

সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (২২ জানুয়ারি) নরওয়ের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেক্টরে প্রবৃদ্ধি খুবই দ্রুত হচ্ছে। বর্তমানে কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া বেশির ভাগ ব্যাংকই ভাল করছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৪৮টি ব্যাংক রয়েছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেশি মনে হলেও সমস্যা নেই। বর্তমানে কয়েকটি ব্যাংক ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংকের অবস্থা ভালো। এমনো হতে পারে যেসব ব্যাংকের অবস্থা খারাপ সেগুলোকে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেওয়া হবে। আগামীতে ব্যাংকিং সেক্টরকে আরও সুশৃঙ্খল করতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে দেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খেলাপি ঋণ। বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। এমনও শোনা গেছে, এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হচ্ছেন। বিষয়গুলো এত দিন খুব কড়া-কড়িভাবে নজর দেওয়া হতো না। কিন্তু বর্তমানে এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও গভীর নজর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার পরপর দুই মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। ২০০৯ সালে খুবই ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল, ২০১৪ সালে ফেয়ার নির্বাচন হয়েছিল কিন্তু সে সময় বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আছে। আগামীতেও যদি জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোটে নির্বাচিত করে তাহলে দেশের উন্নয়নে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন হবে।’

আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘২০১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল না। বর্তমানে সেই অবস্থা আর নেই। দেশে রাজনৈতিকভাবেও স্থিতিশীলতা রয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা বর্তমানে বিনিয়োগের অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছি বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতকে। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বর্তমানে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ  উৎপাদন হচ্ছে। আগামীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়বে।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য অনেক আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে।’

সারাবাংলা/জিএস/আইজেকে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর