শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৯:২০ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮ ১৮:০০
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা : ঘুষ গ্রহণ ও প্রদানের অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তা ও লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিকের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আসামিরা হলেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মোতালেব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দীন, লেকহেড গ্রামার স্কুলের মালিক খালেদ হোসেন মতিন।
সোমবার মধ্যরাতে ডিবির এসআই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। মামলায় ১০১, ১৬২ ও ১৬৫ ধারা ব্যবহার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হবে।
রোববার রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ঘুষ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের দুইজনকে ও জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে লেকহেড স্কুলের মালিক খালেদ হোসেন মতিনকে গ্রেফতার করে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিনের কাছ থেকে এ সময় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।
কর্মকর্তার দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী
অভিযানে ডিবি : বিভিন্ন অপরাধের তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে সোমবার গ্রেফতার তিনজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এদিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই তিনজনকে গ্রেফতারের পর তাদের সঙ্গে যোগসাজস রয়েছে তাদের ধরতে দিনভর অভিযান চালানো হয়েছে। এমন কি এদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাঘব-বোয়ালেরও নাম রয়েছে, তাদেরও খোঁজা হচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রীর পিওসহ গ্রেফতার তিনজনকে নিয়ে ডিবির অভিযান
সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন সোমবার দুপুরে ওই তিনজনকে গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের গ্রেফতার করেছে। কারো বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও কারও বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।
জঙ্গিবাদে অর্থায়ন, ঘুষ বাণিজ্যে তিনজন গ্রেফতার
জঙ্গিবাদের অভিযোগ লেকেহেডের বিরুদ্ধে : জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদে উৎসাহ দেওয়াসহ কয়েকটি অভিযোগে গত ৬ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় লেকহেড গ্রামার স্কুল বন্ধের নির্দেশ দেয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মেহেদী পরদিন ওই স্কুলে গিয়ে সিলগালা করে দেন। এ অবস্থায় ওই স্কুলের মালিক খালেদ হাসান মতিন এবং ১২ শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
তাদের দুটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ গত ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। এরপর হাইকোর্টে রুলের ওপর দুদিন শুনানি হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্কুলটি খুলে দেওয়ার রায় দেন।
এরপর আপিল বিভাগ সেনাবাহিনীর শিক্ষা কোরের মাধ্যমে স্কুল-পরিচালনার আদেশ দেন। স্কুলের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে একজন সেনা সদস্যকে রাখার কথা বলা হয়।