‘সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে সুশাসনে নজরদারি বাড়াতে হবে’
২২ মার্চ ২০১৯ ০৯:১২
ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। দায়িত্ব পালন করেছেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে। ১৯৮২ সালে জাতিসংঘে যোগ দেন। শিক্ষকতা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও। এখন বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি এই অর্থনীতিবিদ এসেছিলেন সারাবাংলার ‘বিজনেস এক্সপ্রেস’ অনুষ্ঠানে। আলোচনা করেছেন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার নানা দিক নিয়ে। তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হলো সারাবাংলার পাঠকদের জন্য। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার জয়েন্ট নিউজ এডিটর জিমি আমির
সারাবাংলা: অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। সে হিসেবে গত ১০ বছরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কি সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন? না পারলে ঘাটতি কী ছিল বলে আপনি মনে করেন?
মির্জ্জা আজিজ: সার্বিকভাবে আমি বলতে চাই, অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভালো হচ্ছে। ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে, জিডিপি’র সংখ্যাগুলো একটু প্রশ্নবিদ্ধ। অন্যান্য সূচকের সঙ্গে জিডিপির সংখ্যা সমর্থন দেয় না। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা বা আমাদের হিসেবে ৭ শতাংশের ওপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ঠিক আছে। তবে, এর মধ্যে অনেকগুলো সমস্যা রয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ঘনীভূত হচ্ছে ব্যাংকিং খাত। আমাদের দেশে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের মূল সূত্র হচ্ছে ব্যাংক। এছাড়া, মূলধনী বাজার বা ক্যাপিটাল মার্কেট এখনও প্রাণহীন অবস্থায় চলছে। উদ্যোক্তারা এই বাজার থেকে মূলধন না নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করছে। সার্বিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের অভাব সবচেয়ে বেশি।
অনেক ক্ষেত্রে এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করছে না। উদ্যোক্তাদের এমন সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় যা ব্যাংকখাতের সুশাসনের পরিপন্থি। ঋণ দেওয়া ও আদায়ে নমনীয়তার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা যায়। আইনি ব্যবস্থার নানারকম দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতা থাকে। বিশেষ করে খেলাপি ঋণের বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। ঋণখেলাপিতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো যাবে না। অনেক উদ্যোক্তাদের ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়। এতে করে নৈতিক বিপত্তি তৈরি হয়। কারণ অনেকেই মনে করেন, ঋণ শোধ না করলে আরও বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। এই ধরনের মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। এর সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়াগুলো যেগুলো আছে, সেগুলো নিরসনে চেষ্টা করা উচিত। আর ব্যাংকগুলোর দক্ষতাও বাড়ানো দরকার।
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ কম, এর মানে হচ্ছে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। বেসরকারি বিনিয়োগ নেই বললেই চলে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা বেড়ে হয়েছে মাত্র ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। এক দশকে মাত্র ১ শতাংশের একটু বেশি উন্নতি হয়েছে। তাই বেসরকারি খাতের যে প্রতিবন্ধকতাগুলো আছে, সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ আছে। যেমন— বিনিয়োগের জন্য জমিপ্রাপ্তি, বিশেষ করে অর্থনৈতিক জোন করার কথা ছিল একশটি। সেসবের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। এছাড়া, এলএনজি আমদানি, বিদ্যুৎ আমদানি বা স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো। তবে গ্যাসের সমস্যার সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। সার্বিকভাবে এনার্জির সমস্যা রয়ে গেছে। পরিবহন সেক্টরে ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্টাক্চার নেই বললেই চলে। সার্বিকভাবে যে সুশাসনের অভাব, সেটা বিশ্বব্যাংকের যে গভর্ন্যান্সে ইনডিকেটর, সেখানে আমাদের অবস্থান অনেক নিচে। বিশ্বব্যংকের আরেকটি ইনডিকেটর আছে— ইজ অব ডুয়িং বিজনেস, অর্থাৎ কত সহজে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা যায়। সে জায়গায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬। অথচ এই সূচকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান আমাদের অনেক ওপরে। সরকার অনেক জায়গায় হয়তো উদ্যোগ নিচ্ছে। কিন্তু সুশাসনের জায়গায় সরকারকে আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বলছে, তারা ওয়ান স্টপ সার্ভিস দ্রুত চালু করবে। ইজ অব ডুয়িং বিজনেসে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত একশটি দেশের মধ্যে নিয়ে যেতে চায় তারা। আমি কিন্তু সেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না।
রেগুলেটরি কোয়ালিটি বলে একটি ইনডিকেটর আছে। সেখানে আমাদের অবস্থান পৃথিবীর সবার নিচে। এর জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমরা রেগুলেটরি রিফর্মস কমিটি গঠন করেছিলাম। এটা কিছুদিন কাজ করেছিল। তাদের বেশকিছু সুপারিশে আমদানি রফতানি ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পরের সরকার এই কমিটিকে অফিসিয়ালি বন্ধ করেনি, কিন্তু এখানকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, শক্তিশালী রিফর্ম কমিটি গঠন করবেন। কিন্তু তা আর চোখে পড়েনি।
সারাবাংলা: সুশাসনের অভাবের কথা বলছেন, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো না কেন? এক্ষেত্রে কি সুশাসনের অভাব মনে করছেন আপনি?
মির্জ্জা আজিজ: রিজার্ভ চুরির ঘটনায় প্রতিবেদন প্রকাশ না করে বরং নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজনের দোষ ছিল বলেই প্রতিবেদন প্রকাশ করছে না সে দেশের সরকার। এখানে সমুচিত জবাব দেওয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই। আইনি দিক থেকে এটি আমাদের খুব একটা সুবিধা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
সারাবাংলা: দেশে দারিদ্র্য বিমোচনের হার ব্যাপক কমছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখনও দেশের মোট চার ভাগের এক ভাগ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। এ বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
মির্জ্জা আজিজ: ঠিক চার ভাগের এক ভাগ নয়, ২২ শতাংশের মতো মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। এর অগ্রগতি অব্যাহত আছে এবং একদিকের বিবেচনায় এটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বাৎসরিক গড় হার কমে আসছে। যেমন— ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত দারিদ্র্য বিমোচনের হার গড়ে প্রতিবছরে বেড়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপরের ৫ বছরে এটি গড়ে প্রতিবছর কমে এসেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। আবার ২০১৭ পর্যন্ত এই হার নেমে এসেছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। দারিদ্র্য বিমোচন অব্যাহত থাকলেও দারিদ্র্য নিরসনের যে গড় হার সেটা কমে যাচ্ছে। সেটা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে যে ২২ শতাংশ মানুষ, তা তো শ্রীলংকার মোট জনসংখ্যারও প্রায় দ্বিগুণ। তাই এটি এখনও একটি বড় সমস্যা আমাদের জন্য। তবে, এই সমস্যা সমাধানের জন্য বেশি মাত্রায় কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এটা সমাধান করতে হলে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। তার জন্য আবার বিনিয়োগ দরকার। তবে, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রোডাকটিভ এমপ্লয়মেন্ট কিন্তু টোটাল এমপ্লয়মেন্টর সংখ্যা কমে গেছে। এছাড়া, আমাদের দেশের ৮৫ শতাংশ কর্মসংস্থানই অনানুষ্ঠানিক খাতের। এখানে তো তুলনামূলকভাবে কম উৎপাদন হয়। কাজেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে টাকার অঙ্ক বাড়লেও জিডিপি ও বাজেটের আনুপাতিক হারে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যা ছিল, তা থেকে কমে গেছে। বাজেটের আকার বা জিডিপি’র আকারের সঙ্গে টাকার অঙ্ক বাড়লেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গড়ে ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি বেড়ে গত ১০ বছরে টাকার দাম প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি চলে এসেছে। তাই আমি মনে করি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানোর দরকার আছে। তবে এই বরাদ্দ যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রকল্পের আওতায় যেমন ১০টাকা দামের চাল খাওয়ানো হয়, তেমনি বিভিন্ন জায়গায় অনিয়মও ধরা পড়ে। এখানে আবার দেখা যায়, রাজনৈতিক প্রভাবে যাদের পাওয়ার কথা নয়, তারা অন্তর্ভুক্ত হয়; যাদের পাওয়ার কথা, তারা বঞ্চিত হয়। আবার অনেক জায়গায় তসরুপ হয়।
সারাবাংলা: কর্মসংস্থান নেই। বেসরকারি বিনিয়োগ যেখানে ২৭ শতাংশ হলে অর্থনীতি এগিয়ে যায়, সেখানে একদিকে জিডিপি বাড়ছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থান বা বিনিয়োগ কমছে। তাহলে সূচকগুলো খানিকটা পরস্পরবিরোধী হয়ে গেল না?
মির্জ্জা আজিজ: এটার একটা ব্যাখ্যা আছে। কারণ, সার্বিকভাবে এখন যে বিনিয়োগ বাড়ছে, তা সরকারি। এটা বাস্তবায়ন হয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি’র মাধ্যমে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ ৪ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে চলে এসেছে। সরকারি খাতের যে বিনিয়োগ হয়, তাতে সাধারণত ক্যাপিটাল ইনটেনসিভ হয়। যেমন— দেশে এখন বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এসব জায়গায় উচ্চ দক্ষতাসম্পন্নদের নিয়োগ দেওয়া হয়। সুতরাং আধাদক্ষ বা অদক্ষদের জন্য যে কর্মসংস্থান, তা সরকারি খাতে তেমন একটা হয় না। এ কারণে সার্বিক বিনিয়োগে জিডিপি বাড়ছে সত্য, কিন্তু অন্যদিকে কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে, সেটাও সত্য।
সারাবাংলা: বাজেট বাস্তবায়নে এখনও আমাদের সক্ষমতা তৈরি হয়নি। এখনও রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থেকে যায়, কাঁটছাট করতে হয়। এই সক্ষমতা তৈরিতে আমাদের আরও কতদিন অপেক্ষা করতে হবে?
মির্জ্জা আজিজ: সাম্প্রতিক যে বাজেট নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা অবাস্তব। প্রাতিষ্ঠানিক জনবল ও দক্ষতা বিবেচনায় নিয়ে যে বাজেট প্রণয়ন করা উচিত, তা করা হয় না। এর ফলে বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় না। রাজস্ব আহরণে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকি। রাজস্ব আহরণে এই বছরের অবস্থা তো করুণ। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের কারণে এবার অনেক জায়গায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়া হয়েছে। একটি হচ্ছে অনুপযুক্ত লক্ষ্যমাত্রা, যে প্রশাসনিক দক্ষতা থাকা দরকার তা নেই। অন্যদিকে, করের জাল সম্প্রসারণের কথা সবাই বলছে, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এর ফলে আমাদের রাজস্ব ও জিডিপি’র যে রেশিও, তা নেপালের অর্ধেকের চেয়ে একটু বেশি। আর নেপালের পার ক্যাপিটা ইনকাম আমাদের অর্ধেকের চেয়ে একটু বেশি। এটা আমাদের জন্য একটা লজ্জাকর অবস্থান। পৃথিবীর সব দেশের তুলনায় আমাদের রাজস্ব আহরণ জিডিপি’র আনুপাতিক হারে কম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমাদের আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়ার দরকার আছে।
সারাবাংলা: সরকার উন্নয়নের চেষ্টা করছে, কিন্তু সেখানেও অনেক ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। এই ঘাটতি মোকাবেলা হবে কিভাবে? বা সরকারের কী কী লক্ষ্য হওয়া উচিত এসব ঘাটতি পূরণে?
মির্জ্জা আজিজ: সার্বিকভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে কর্মসংস্থান তৈরি করতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বেসরকারি বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। সরকারি বিনিয়োগে যে সমস্যা, সেটি হচ্ছে ‘টাইম ওভার’ ও ‘কস্ট ওভার’। অনেক বেশি প্রকল্প নেওয়া হয়। তাতে অল্প অল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে সময় লাগে। সময় বেশি লাগলে খরচের মাত্রাও বেড়ে যায়। বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় আবার এসব পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪০ শতাংশের নিচে। শেষের দিকে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হয়, সেসব কাজের মান থাকে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজ না করেই চেক লেখা হয়। এগুলোর জন্য আমি মনে করি, প্রশাসন যন্ত্রের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। আমাদের দেশে ভালো কাজ করলে কোনো স্বীকৃতি নেই। কাজ না করলে কোনো জবাবদিহিতা নেই। এই বিষয়গুলোর পরিবর্তন দরকার।
সারাবাংলা/জেএএম/টিআর