Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঊর্ধ্বমুখী সবজি ও মাছ মাংসের বাজার, কমতির দিকে চাল


২২ মার্চ ২০১৯ ১৪:০০

ঢাকা: পেঁয়াজ, রসুন ও চালের দাম কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী সবজি ও মাছ মাংসের বাজার। মুরগির বাজার আরও আকাশচুম্বী। কেজিতে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে অন্তত ১০০ টাকা। বাড়তির দিকে রয়েছে ডিমের দামও। তবে কমতির দিকে রয়েছে চালের দাম। বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে কেজিতে চালের দাম কমেছে অন্তত ৫ টাকা। আর পাইকারি বাজারে নতুন ওঠা দেশি পেঁয়াজ মিলছে মাত্র ২০ টাকা কেজিতে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

কারওয়ানবাজারের খুচরা বাজারে দেখা গেছে, বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কড়লা ৮০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ ও শশা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ ফুলকপি ৩০, পাতাকপি ২৫, লতি ৭০, সাজনা ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

দেশি পেঁয়াজ ২০ টাকা এবং রসুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর কেজিতে আদার দাম ৮০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বিষয়ে রবিউল ইসলাম নামের একজন পাইকারি বিক্রেতা বলেন, দাম এখনই খুবই কমই। কারণ বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠছে এবং এসব পেঁয়াজ অনেকাংশে কাঁচা। রসুনের দাম বিষয়ে এক বিক্রেতা বলেন, রসুনের দামও কমেছে। সপ্তাহ দুই আগে রসুনের দাম ছিল ১০০ টাকা।

খুচরা বাজারের মধ্যে আরজতপাড়ার বউবাজারে দেখা গেছে সবজির বাজার খুবই ঊর্ধ্বমুখী। কমবেশি সব সবজির দামই ৬০ থেকে ৮০ টাকা। খুচরা এই বাজারটিতে গোল বেগুন ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ টাকা, কড়লা ১০০ টাকা, উস্তা ৮০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেপে ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা ও বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া আলু ২০ টাকা, পেঁয়াজ ৩০ টাকা ও রসুন ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম কমেছে চালের।

বউবাজারের দোকানি আলম সারাবাংলাকে বলেন, মিনিকেটের দাম কেজিতে ৬ থেকে ৮ টাকা কমেছে। আগে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি করলেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি। গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে চালের দাম কম।

চালের দাম কমার তথ্য পাওয়া গেছে কারওয়ানবাজারের খুচরা বাজারেও। মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪০ টাকক ও নাজিরশাইল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মায়ের দোয়া স্টোরের বিক্রেতা বাবলু বলেন, কেজিতে সব চালের দাম অন্তত ৪ টাকা করে কমেছে। কারণ একমাস পরেই নতুন ধান উঠবে। কৃষক তাদের পুরাতন ধান ও চাল এখন বিক্রি করে দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাছের বাজারে বাড়তি চাহিদা রয়েছে ইলিশের। দামও কিছুটা বেশি। বৈশাখকে সামনে রেখে দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা। কারওয়ানবাজারের কিচেন মার্কেটের মা-বাবার দোয়া মৎস্য ভাণ্ডারের মালিক মাসুদ রানা বলেন, কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে ইলিশের দাম বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। সালাম নামের আরেক বিক্রেতা জানালেন, মাঝারি সাইজের ইলিশের দাম পিস প্রতি বেড়েছে ১০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা, ৯০০ গ্রাম ১ হাজার টাকা এবং ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পিসে বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির। ব্রয়লার এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৫০ টাকা। কেজিতে দেশি মুরগির দাম ১০০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানী কর্কের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া গরুর মাংস ৫২০ থেকে ৫৫০ ও খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কারওয়ানবাজারে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। ৫২০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রির কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকানে ৫৫০ টাকার মূল্যতালিকা ঝুলতে দেখা গেছে। খাসির মাংসের ক্ষেত্রে মূল্যতালিকায় দাম লেখা রয়েছে ৮০০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন ৭৫০ টাকায়ও খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে। জানতে চাইলে এক মাংস বিক্রিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিটি করপোরেশন দাম নির্ধারণ করে দিলেও মাংস তো আর তারা বিক্রি করছে না। কিনতে হচ্ছে আমাদের। বেচতেও হচ্ছে আমাদেরই। ৫৫০ টাকা লেখা থাকলেও ৫২০ টাকায়ই বিক্রি করছি। আরেক বিক্রেতা বলেন, নির্ধারিত মূল্য শুধু রমজান মাসের জন্য। কয়েকদিন আগে আমার এই মূল্য লিখেছি। এখন দাম কমেছে। খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম

উর্ধ্বমুখী সবজি বাজার