ইইউর শর্ত অনুসারে ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থনের আহ্বান মে’র
২২ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫২
চলতি মাসের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের ইচ্ছায় আগামী ২২মে পর্যন্ত ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন পেছাতে সম্মত হয়েছে ইইউ নেতারা। খবর বিবিসির।
তবে জোটটি শর্ত হিসেবে জানিয়েছে, বর্ধিত সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট যদি প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’কে আবারও প্রত্যাখ্যান করে তাহলে ১২ এপিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে ইইউর অনুচ্ছেদ ৫০। এক্ষেত্রে ‘সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত’ নিতে আহ্বান জানিয়ে মে বলেছেন, এমপিরা যেন পার্লামেন্টে তার চুক্তিকে সমর্থন দেয়।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ইইউ সামিটে দেওয়া ভাষণে মে আরও জানান, ইইউর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তিটি পাশ করাতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
কিছুদিন আগে হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বেরকো বলেন, টেরিজা মে তার চুক্তিতে নতুন কিছু যোগ না করতে পারলে তিনি তৃতীয়বার ব্রেক্সিট চুক্তি বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোট ডাকবেন না। তবে পরপর দুইবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরও মে আরও একবার পার্লামেন্টে চুক্তিটি পাশের জন্য ভোটগ্রহণে আগ্রহী।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত মতে, আগামী ১২ এপ্রিলের মধ্যে টেরিজা মে তার ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাশ না করাতে পারলে কোন চুক্তি ছাড়াই ‘নো-ডিল’ ব্রেক্সিট কার্যকর হবে। ইউরোপীয় কমিশনের চেয়ারম্যান ডোনাল্ড টাস্ক এ বিষয়ে বলেন, আমাদের যেটুকু করার আমরা করেছি। বাকিটা এখন লন্ডনের বিষয়।
এমপিদের সঙ্গে মতের মিল না হওয়া প্রসঙ্গে টেরিজা মে বলেন, আমার মতো এমপিরাও হতাশ। আমি জানি, তাদেরও কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।
মে আরও বলেন, আমি আশা করি সবাই একটা বিষয়ে একমত হবেন যে, আমরা এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুহূর্তে চলে এসেছি। একটি চুক্তি নিয়ে ইইউ ত্যাগ করা ও দেশকে এগিয়ে নিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
আগামী ২৫ মার্চ ব্রেক্সিট চুক্তি বিষয়ে আবারও পার্লামেন্টে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নতুন ভোট বিষয়ে দিনক্ষণ ঠিক করেনি ডাউনিং স্ট্রিট।
এদিকে, ব্রেক্সিট বাতিল ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যকে বহাল রাখতে প্রচারণা চালাচ্ছে ব্রেক্সিট বিরোধী পক্ষ। এ নিয়ে সর্বশেষে দুই মিলিয়ন পিটিশন স্বাক্ষর হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পিটিশনের সংখ্যা বিবেচনার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।
সারাবাংলা/এনএইচ