‘সরকার মুখে জিরো টলারেন্সের কথা বললেও কাজে প্রমাণ নেই’
২২ মার্চ ২০১৯ ২০:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার মুখে জিরো টলারেন্সের কথা বললেও কাজ-কর্মে তার প্রমাণ দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন একুশে পদক জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকার মুখে জিরো টলারেন্সের কথা বললেও কাজে–কর্মে তার প্রমাণ নেই। বরং যারা লুটপাটের অর্থনীতির চালু করেছে তারা পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। ধনকুবের উৎপাদন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ১২তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক পদ থেকে মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মইনুল ইসলাম বলেন, মুনীর চৌধুরী সবচেয়ে সাহসী ও সৎ কর্মকর্তা। অথচ তাকে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে বিজ্ঞান জাদুঘরে বদলি করা হয়েছে। হয়তো তিনি সরকারের কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গিয়েছিলেন।
এবারের মন্ত্রিসভায় বেগম মতিয়া চৌধুরীকে না রাখার সমালোচনা করে একে ‘স্বেচ্ছাচার ও খামখেয়ালিপনার’ মন্ত্রিসভা বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপক মইনুল। তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষি বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া মতিয়া চৌধুরীর পরিবর্তে আরেকজনকে কেন আনতে হবে? এর মাধ্যমে তাঁকে অপমান করা হয়েছে। এটা কি মন্ত্রিসভা হয়েছে? এটা তো স্বেচ্ছাচার আর খামখেয়ালিপনার মন্ত্রিসভা। এভাবে গণতন্ত্র হয় না।’
গত ৩০ ডিসেম্বরের সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আবার গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে এই বুদ্ধিজীবী বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাতের আঁধারে ব্যালট বক্স ভরিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র বড় সংকটে পড়ে গেল।
চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন যুব ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সভাপতি রিপায়ন বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল শিকদারের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আমির হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক আশিকুল ইসলাম জুয়েল এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব রাশিদুল সামির।
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ