রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে প্রতারণায় গ্রেফতার ১
২৫ মার্চ ২০১৯ ১৪:১১
ঢাকা: ফেসবুকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন তথ্যের অপপ্রচার, জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবির সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে প্রতারণা চালানো আশেক আহমেদ নামে (৪০) এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর পরিচালক লে. কর্ণেল ইমরানুল হাসান। রোববার রাত ১১টার দিকে তেঁজগাওয়ের নাখাল পাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি মোবাইল ফোনও জব্দ করা হয় বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
তিনি নিজেকে জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের সভাপতি পরিচয় দিতেন।
র্যাব-৩ এর পরিচালক ইমরানুল হাসান বলেন, আশেক আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করে অপপ্রচার চালাতো। যা রাষ্ট্রের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করাসহ জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছিল। দীর্ঘদিন তার এমন কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ শেষে গতকাল (রোববার) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার আশেক ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে পড়ার সময় বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০১০ সালে ইতালি চলে যান এবং ২০১৪ সালে দেশে ফিরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ফেসবুকে পোস্ট করতো।
গ্রেফতার আশেকের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা বলেন, আসামী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, ১১ তম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ায় সে তার রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে দল পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। তাই, মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে সেগুলো ফেসবুকে পোস্ট করতো। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে চাকরির তদবির, স্কুল কলেজে ভর্তি বাণিজ্য, বদলী বাণিজ্য এবং টেন্ডার পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমান আত্মসাৎ করেছে সে। তার বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা। তবে, ভুক্তভোগীদের কোনো অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাও দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচ/জেএএম