Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গণহত্যা দিবসে টোকিও দূতাবাসে কালো ব্যাচ


২৫ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৯

ঢাকা: জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস সোমবার (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে। ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করার জন্য, সরকার এবং বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসমূহ কাজ করে যাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জানান।

জাপানের টোকিও মিশন থেকে সোমবার (২৫ মার্চ) এক বার্তায় জানান হয়, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার ২৫ মার্চ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয় কালো ব্যাচ ধারণ করে। এই সময় মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করেও দোয়া করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশ নেন। রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু বাঙালিদের দমিয়ে রাখা যায়নি। ত্রিশ লাখ প্রাণ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বীর বাঙালি বিজয় ছিনিয়ে আনে। আর তাই আজ আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা পেয়েছি স্বাধীন ভূখণ্ড, নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা— যা আমাদের গর্বের প্রতীক।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র ও নিরপরাধ বাঙালির ওপর মানব জঘন্যতম ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাই ২৫ মার্চ কে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

১৯৭১ ২৫ মার্চ কালরাত্রি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর