‘স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের ইতিহাস কখনো ক্ষমা করবে না’
২৫ মার্চ ২০১৯ ২২:৫৭
ঢাকা: যারা এখনও স্বাধীনতার বিরোধিতা করছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
তিনি বলেন, ইতিহাস অতীতেও কাউকে ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। যেভাবে মীরজাফরকেও ক্ষমা করেনি, তেমনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাও ক্ষমা পায়নি।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ১৯৭১-এর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ‘প্রতিরোধে প্রথম ব্যারিকেড’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, তারাই ভূলুণ্ঠিত হয়েছে বারবার। তাই সবার উচিত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং স্বাধীনতা, দেশ ও জাতির সঙ্গে বেঈমানি না করা। যারা এখনও এসবে লিপ্ত, তাদেরকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
আগামীর বাংলাদেশের পরিকল্পনা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি, ২০২০ ও ২০২১ সাল আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০ সালে আমরা জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী পালন করব। আর ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পালন করব। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এমনি এমনি আসেনি। অনেক কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে, আপনার সবচেয়ে ভালো সময় কোনটি? আমি বলি, আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় যুদ্ধকালীন ৯ মাস। অনেক রক্তের গল্পের সঙ্গে মিশে আছে তেঁজগাও। এ দেশে সব বড় বড় আন্দোলনের সূত্রপাত এখান থেকে হয়েছে। এমনকি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার চার জন আসামি ছিলেন এই তেঁজগাওয়ে। তার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ আমরা এখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
তিনি আরও বলেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনাদের গুলিতে ওই দিন আমরা পিছপা হইনি। তারা যত গুলি করেছে, আমরা তত ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি উচ্চারণ করেছি।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মহাখালীতে থাকতাম তখন। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতাম। চারিদিক হাওয়া ছিল, যেকোনো সময় ক্যান্টনমেন্ট থেকে আর্মিরা বের হবে। সেটা শুনেই ফার্মগেটে প্রথম ব্যারিকেড দিয়েছিলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের নেতৃত্বে।
আতিক ফর ঢাকা গ্রুপের আয়োজনে সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পতাকার নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ন দাশ, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানমসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর