লক্ষ্মীপুরে ফের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, আহত ২০
২৬ মার্চ ২০১৯ ২৩:২১
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ফের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ব্যবসায়ীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনের পরদিন থেকে শুরু করে দু’দিন ধরে রামগতির আজাদ মার্কেট, জাহের মার্কেট, টাঙ্কি বাজারসহ বড় খেড়ী বাজার এলাকায় এসব হামলার ঘটনা ঘটে। তাদের স্থানীয় উপজেলা কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রোববার (২৪ মার্চ) পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে লক্ষ্মীপুরে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে তিনটিতে স্বতন্ত্র ও দু’টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হন।
রোববার নির্বাচনের দিনই আলী আকবর হাজীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে কাপ-পিরিচ প্রতীকের এজেন্টের সঙ্গে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে নির্বাচনের পরদিন হাজিরহাট বাজার এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটেই চলেছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুল গনি, রাসেল, ফারুক, মেহরাজ, শামছুদ্দিন, যুবরাজ, দুলাল, শাহদাত হোসেন ও ব্যবসায়ীসহ উভয় পক্ষের ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
রামগতিতে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরাফত উদ্দিন আজাদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ তার কর্মী-সমর্থকদের দিয়ে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা সাধারণ মানুষ আশা করে না।
চেয়ারম্যান শরাফত দাবি করেন, তার কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন নৌকার কর্মী-সমর্থকদের হামলায়। তিনি নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদের প্রতি হামলা ও সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানান।
নির্বাচনে কাপ-পিরিচ মার্কার এজেন্ট আশ্রাফ জানান, নির্বাচনে হেরে গিয়ে পরদিন তাকে না পেয়ে পরাজিত নৌকা মার্কার সমর্থকরা ওসমান মুন্না ও মান্নার নেতৃত্বে জুবায়ের ও দুলালের ওপর হামলা চালায়। এরপর থেকেই দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে চলেছে।
এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে পরাজিত হওয়া আব্দুল ওয়াহেদের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভড করেননি।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরিচ উদ্দিন জানান, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার খবর আমরা পাচ্ছি। তবে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর