বেরোবিতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ; থমথমে পরিস্থিতি
২৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪২
রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কমিটি পূর্ণাঙ্গের জের, আধিপত্য বিস্তার ও ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তিন ছাত্রলীগ নেতা আহত হলে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আজম ফাহিন ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা দিবসের উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নেতা ফয়সাল আজম ফাহিন, রুবেল হোসেন, মৃতিশ চন্দ্র বর্মণের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং স্বাধীনতা স্মারকে ফুল প্রদান করে।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রলীগ সভাপতি তুষার কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখকে বর্জনের ঘোষণা দেয়। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্রলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি না দেয়া ও এককভাবে আধিপত্য বিস্তার এবং কর্মীদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন না করার কারণেই এই ঘোষণা। এ বক্তব্যের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখের সমর্থকরা কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন ও তার দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ তুলে ফয়সাল আজম ফাহিনের সমর্থক ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুব্রত ঘোষ ও ফজলে রাব্বি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পরে।
এ ঘটনা ছড়িয়ে পরলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় রাজিব হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এতে ফাহিন গ্রুপের রাব্বি ও সুব্রত আহত হয়। পরে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নোবেল শেখ বলেন, ‘একটি অস্থিতিশীল গ্রুপ ছাত্রলীগকে কলুষিত করতে এমন কার্যকলাপ করছে। ক্যাম্পাসে যখন সুষ্ঠু পরিবেশ ও ছাত্রলীগ গোছানোভাবে চলছে তখন প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করতে তারা এমন করছে।’
বিষয়টি নিয়ে ফয়সাল আজম ফাহিন বলেন, ‘দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা দুজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিচ্ছে না। দুজনে মিলে বিভিন্নভাবে ছাত্রলীগকে ভাঙ্গিয়ে সুবিধা নিচ্ছে। যার ফলে বঞ্চিতদের জাগরণ ঘটেছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির উপ-পরিদর্শক মুহিব্বুল ইসলাম বলেন, ‘নারী ঘটিত বিষয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) প্রফেসর ড. একে এম ফরিদ উল ইসলাম বলেন, ‘ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/ইউজে/পিএ
