Monday 30 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা নারীদের পাচারের চেষ্টা, ৪ জনকে উদ্ধার


২৭ মার্চ ২০১৯ ২১:২১

ঢাকা: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নারীদের বিদেশে পাচারের চেষ্টা করে একটি চক্র। বিদেশে গিয়ে সুখে থাকা ও বিনা খরচে বিপুল অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে চার রোহিঙ্গা নারীকে ঢাকায়ও এনছিল তারা। তবে পাচারের আগেই ধরা পড়েছে র‌্যাবের কাছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, গতকাল রাত নয়টার দিকে খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট এবং জন্ম নিবন্ধন কাগজসহ চার রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করে পাচারকারীদের হাত থেকে। এসময় পাচারকারী আব্দুল হামিদ (৩০) ও পার্সপোর্ট-ভিসা জালকারী রিয়াদ হোসেন নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার হওয়া চার রোহিঙ্গা নারী হলেন- হাসিনা বেগম (২৫), রুমা আক্তার (১৮), বুশরা আক্তার (১৯) ও ছাবেকুন্নাহার (১৮)।

র‌্যাব কর্মকর্তা এমরানুল হাসান বলেন, ‘মানবপাচারকারী চক্রের প্রধান আব্দুল হামিদ ১৯৯০ সাল থেকে সৌদি আরবে বসবাস করেন। এর আগে ২০০৭ সালে সৌদি আরবে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে ছয় মাস কারাদণ্ডের পর তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকে সৌদি আরবভিত্তিক মানব পাচার শুরু করেন।

তিনি আরও জানান, চক্রটির সৌদি আরবে নারী পাচার করতে কোনো টাকা পয়সা খরচ হয় না। এ কারণেই খুব সহজেই অসহায় নারী ও তাদের অভিভাবকদের সৌদি আরবের পাচারের উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করা যায়। উল্টো এমন কাজে তারা প্রতি নারী প্রতি ১৫ টাকা করে কমিশন পেতো এবং যাদেরকে নেওয়া হতো তাদেকেও কখনো কখনো ৫০ হাজার টাকা দিতো চক্রটি। বলা হতো ওই  টাকা বিদেশ গিয়ে পরিশোধ করলেই হবে। এভাবেই নারীদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করতো চক্রটি।

বিজ্ঞাপন

জিজ্ঞাসাবাদে হামিদের দেওয়া তথ্যমতে র‌্যাব জানিয়েছে, সে ইতোমধ্যে ২০ জনকে পাচার করেছে। গত দশবছর ধরেই সে একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে নারী পাচারের কাজ করছে। তার এ কাজে সহায়তা করতো কেরানীগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের পাশের ফটোকপির দোকাদার রিয়াদ।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকার সময় দালাল জাহিদের প্রলুব্ধ হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নারীরা। পরবর্তীতে দালাল জাহিদ মার্চের প্রথম দিকে আব্দুল হামিদের বাসায় আসে। আব্দুল হামিদ পরবর্তীতে ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে। দালাল রিয়াদ হোসেনের মাধ্যমে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে। তারপর কেরানীগঞ্জে পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়।

এ ঘটনায় জব্দ হওয়া পাসপোর্টগুলো তদন্ত করা হবে এবং জড়িত ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এসএইচ/এমআই

রোহিঙ্গা. পাচার

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর