উপজেলা নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হয়নি: সিইসি
২৭ মার্চ ২০১৯ ২১:১৫
নোয়াখালী: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ‘চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বড় দুটি দল অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক হয়নি। অবশ্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া ওই দুটি দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার প্রধান হাতিয়ার হলো ভোটার। নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে আসার পর যাতে কোনো রকম অসুবিধার সস্মুখীন না হয় সে বিষয়টির প্রতি বিশেষ নজর রাখতে হবে।’
সব জায়গায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনও শতভাগ মডেল নির্বাচন হবে।’ এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করারও আহবান জানান।
নোয়াখালীর সাতটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন ও চলতি মাস থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উপজেলা নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। এ নির্বাচনে কোনো প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কোথাও ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জোরপূর্বক ব্যালট পেপার বাক্সে ভরার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে ভোট স্থগিত করা হবে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কঠোর ভূমিকা রাখবে।’
জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস-এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে (৩১ মার্চ) নোয়াখালীর মোট ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সারাবাংলা/এমএইচ/এমআই
আরও পড়ুন
বাঘাইছড়ির ঘটনায় প্রতি পরিবার সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে পাবে: সিইসি