ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এদিন হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে বাড়ছে স্বজনদের ভিড়।
বৃহস্পিতবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভাই আতাউর রহমানের খোঁজে আসেন সুলতানা। মধ্য বয়সী ওই নারীর হাত ধরে এসেছে আতাউরের মেয়ে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আতাউর নামে কেউ চিকিৎসা নিতে আসেননি। এরপর ছুটে যান হাসপাতালের তথ্য বিভাগে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মীরাও দিতে পারেনি সন্ধান। ইউনাইটেড থেকে বেরিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন সুলতানা।
সুলতানা বলেন, আমার ছোট ভাই। ওর সাথে দুপুরেও কথা হয়েছে। আতাউরের অফিস ছিল ওই ভবনের ৭ তলায়।
একই রকম উৎকণ্ঠা নিয়ে ছুটে আসেন তুহিন। তিনি জানান, তার ভাই নাহিদুল ইসলাম এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় কাজ করতেন। তিনি ঢাকা মেডিকেলেও খোঁজ নিয়েছেন- পাননি। ইউনাইটেড থেকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে।
ইউনাইটেড হাসপাতালের ইনফরমেশন ডেস্কে দায়িত্ব পালন করছেন ফাহমিদা। তিনি জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালে মোট ২৬ জনকে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদের শরীরে পোড়ার দাগ ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মায়ের কাছে ছেলের ফোন ‘মা নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে’
সারাবাংলা/এমএমএইচ/এটি