ঢামেক মর্গে ৭ মরদেহ, শনাক্ত ৬টি হস্তান্তর রাতেই
২৯ মার্চ ২০১৯ ০১:২১
ঢাকা: বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুনে দগ্ধ হওয়া সাতটি মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে। এর মধ্য ছয়টি মরদেহ শনাক্ত করেছেন তাদের স্বজনরা। সেগুলো রাতেই হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আগুন লাগে এফআর টাওয়ারে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েকটি তলায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় ১৯ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এফআর টাওয়ারের আগুনে দগ্ধ হয়ে যাওয়া সাত জনের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢামেক মর্গে। তারা হলেন, ফজলে রাব্বি (২৭), তানজির আবির (২৪), শেখ তাসনিম বৃষ্টি (২৭), আমির হোসেন রাব্বি (২৯), মির্জা আতিকুর রহমান (৪৪) ও মঞ্জুর হাসান (৩৫)। এছাড়া, আরও একজনের মরদেহ রয়েছে ঢামেক মর্গে। সঙ্গে থাকা কাগজপত্র থেকে জানা গেছে, তার নাম ইফতেখার হোসেন। তার পরিচয় বিস্তারিত পাওয়া যায়নি।
নিহতদের মধ্যে ফজলে রাব্বির (২৭) পিতা জহিরুল হক, তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ। এফআর টাওয়ারের ১১ তলায় ইউরো সার্ভিস নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
তানজির আবিরের (২৪) মরদেহ শনাক্ত করেন তার দুলাভাই দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, তানজিরের বাবা আবু বকর সিদ্দিক, তাদের বাড়ি লালমনিরহাট। কল্যাণপুর মধ্য পাইকপাড়ায় থাকতেন তানজির। মিরচি সিকিউরিটিজ নামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
শেখ তাসনিম বৃষ্টির (২৭) স্বামী কাজী নূর। তাদের গ্রামে বাড়ি যশোর, থাকতেন খিলক্ষেতে। চাচাত ভাই জিসান তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি জানান, এফআর টাওয়ারের ১২ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বৃষ্টি।
বন্ধু গিয়াস উদ্দিন শনাক্ত করেন আমির হোসেন রাব্বির (২৯) মরদেহ। গিয়াস জানান, আমিরের বাবা আইয়ুব আলী, তাদের বাড়ি পাবনা। খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় থাকতেন। বনানীর ওই ভবনে ১১ তলায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
মির্জা আতিকুর রহমানের (৪৪) চাচাত ভাই আবুল খায়ের তার মরদেহ শনাক্ত করেন। খায়ের জানান, আতিকুরের বাড়ি শরীয়তপুর, ক্যান্টনমেন্ট মানিকদী এলাকায় থাকতেন। এফআর টাওয়ারের ১৩ তলায় স্ক্যানওয়েল লজিস্টিকসে চাকরি করতেন তিনি।
শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলোর মধ্যে আরেকটি মঞ্জুর হাসানের (৩৫)। তার বাবা মনসুর মণ্ডল, বাড়ি নওগাঁ সদরে। ইব্রাহিমপুর এলাকায় থাকতেন। তার মরদেহটি শনাক্ত করেন শ্যালক জগলুল আলম। তিনি জানান, পায়ে সমস্যা থাকায় স্ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করতেন মঞ্জুর।
ঢামেক প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজে এ পর্যন্ত সাতটি মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে ছয়টি মরদেহ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। রাতেই তাদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর