মিথির সংসারের স্বপ্ন কেড়ে নিল এফআর টাওয়ারের আগুন
৩০ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৮
বগুড়া: তানজিলা মৌলি মিথি কাজ করতেন একটি ট্যুরিজম কোম্পানিতে। স্বামী রাহেনুল ইসলাম কাজ করতেন ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে। মাত্র আট মাস আগে বিয়ে হয়েছিল তাদের। ছিমছাম একটি সংসারের স্বপ্ন দেখতেন মিথি। এফআর টাওয়ারের আগুন তার সেই স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো মিথি এখন চিরনিদ্রায় শায়িত গ্রামের বাড়িতে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে আগুন লাগে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে। ওই ভবনেই দশম তলায় ছিল মিথির অফিস। আগুন লাগার পর তা ছড়িয়ে পড়ে মিথিদের সেই তলাতেও। তাদেই দগ্ধ হয়ে প্রাণ দিতে হয় মিথিকে।
বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের একমাত্র মেয়ে মিথি। তার চাচা সালাউদ্দিন সরদার বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও অফিসে যায় সে। ভবনটিতে আগুন লাগলে স্বামী রাহেনুল ও ফুপাত ভাই মৌসুমকে ফোন করেছিল মিথি। বলেছিল, ‘আমি আটকা পড়ে আছি। আমাকে বাঁচাও।’ ওর স্বামী ওকে বলে, ওপরের তলায় উঠে যাও। কিছুক্ষণ পর ওর বাবাকেও ফোন করে, বাঁচার আকুতি জানায়। কিন্তু মিথিকে বাঁচানো যায়নি।
সালাউদ্দিন সরদার বলেন, বিকেলে আগুনে ঝলসানো মিথিকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কুর্মিটোলা হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে। হাসপাতালে যেতে যেতেই মারা যায়। পরিচয়পত্র দেখে মিথির মরদেহ শনাক্ত করা হয়। পরে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয় আমাদের।
প্রতিবেশী লিটন ও শুভ জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় মিরপুরে মিথির প্রথম জানাজা হয়। পরে শুক্রবার সকালে বশিপুর গ্রামে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। জুমার নামাজের পর বাবলুর চাতালে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সারাবাংলা/টিআর