Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুলশানে পানি স্বল্পতা, আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে সেনা ও নৌবাহিনী


৩০ মার্চ ২০১৯ ০৮:০৫

ঢাকা: গুলশান ডিসিসি মার্কেট হিসেবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান-১-এর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও পানির স্বল্পতার কারণে ফায়ার সার্ভিসকে ধীর গতিতে কাজ করতে হচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীও আগুন নেভাতে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিচ্ছে।

শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর শাকিল নেওয়াজ এ কথা বলেন। ভোর পৌনে ৬টার দিকে ডিসিসি মার্কেটের কাঁচা ও সুপার মার্কেট অংশে আগুন লাগে।

বিজ্ঞাপন

মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, এর আগে যখন এই মার্কেটে আগুন লাগে (২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি) তখন আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বর্তমানেও যেখানে আগুন লেগেছে, তার আশপাশে আগুন নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির স্বল্পতার কারণে ধীরে ধীরে কাজ হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের এই পরিচালক আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে গুলশানে। এরই মধ্যে সেনাবাহিনীর এক প্লাটুনের মতো সদস্যকে কাজ করতে দেখা গেছে ঘটনাস্থলে।

ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।

গুলশানের এই মার্কেটটিতে অগ্নিকাণ্ড এই প্রথম না। বছর দুয়েক আগে, ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে আগুন লাগে ডিসিসি মার্কেটের কাঁচা মার্কেট অংশে। ১৫ মিনিটের মধ্যে কাঁচা মার্কেটটি ধসে পড়ে। পরে আগুন পাকা মার্কেটেও ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ১৬ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

ডিসিসি কাঁচা ও পাকা মার্কেটে ছয় শতাধিক দোকান ছিল। আগুনে প্রায় আড়াইশ দোকান পুরোপুরি পুড়ে যায় এবং বাকি দোকানগুলোও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পাকা মার্কেটের সামনের অংশে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে চালু করা হয় মার্কেট। আর কাঁচা মার্কেটটি সংস্কার করে নতুন করে গড়ে তোলা হয়।

সারাবাংলা/কেকে/এসজে/টিআর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর