ডিএনসিসি মার্কেটের পণ্য রাস্তায়
৩০ মার্চ ২০১৯ ১১:২৭
ঢাকা: রাজধানী গুলশান-১ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোকানিরা তাদের উদ্ধার করা মালামাল রাস্তায় রেখেছেন। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে ফার্নিচারসহ বেবী প্রোডাক্ট, ইলেকট্রনিক্স, মানি এক্সচেঞ্জ ও হার্ডওয়ার সামগ্রী। বিভিন্ন মালামাল বাইরে রাখার কারণে গুলশান এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন অফিসগামী যাত্রীসহ শিক্ষার্থীরা।
মার্কেটের আশেপাশে দোকান মালিক-কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। এর ফলে ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের পানি সরবারহের গাড়ি ঢুকতে কিছুটা সমস্যা হয় বলে অভিযোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুনে দোকান পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ী মাতলুব সারাবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেটে আগুন লাগার পর যতোটুকু সম্ভার হয়েছে মালামাল বের করে এনেছি। আর বাকি সবকিছু পুড়ে গেছে। আমার তো সব শেষ হয়ে গেল। দোকানের যে মালামাল উদ্বার করতে পারছি এটা দিয়ে কি আর জীবন চলবে।’
মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্থ ফার্নিচারের দোকানদার হুমায়ুন বলেন, আমার দু’টা দোকান ছিল। আগুন লাগার কথা শুনে লোকজন দিয়ে মালামাল বের করে আনছি। পণ্যগুলো রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে। মার্কেটে ১৪ মাসের ব্যবধানে আগুন লাগলো। আমাদের স্বপ্ন পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে।
আগুনের হাত থেকে কিছু পণ্য রক্ষা করতে পারা ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকানদার আবুল হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মার্কেটে আমার ঝাড়বাতি, এনার্জি লাইট, এলইডি বাল্বের দোকান ছিল। আগুনে দোকানের ৪ ভাগের ৩ ভাগ মাল পুড়ে গেছে। এক ভাগ রক্ষা করতে পারছি। মার্কেটে আমার ছোট একটা ব্যবসা ছিল তাও পুড়ে শেষ হয়ে গেল।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান-১ এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ইউনিট যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এখনো পর্যন্ত আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
সারাবাংলা/এসজে/এমএইচ