১০৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
৩১ মার্চ ২০১৯ ১৬:৫২
ঢাকা: চতুর্থ ধাপে দেশের ১০৭ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ কোন রকম বিরতী ছাড়া চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন এসব উপজেলায় ভোট গণনা চলছে।
নির্বাচন উপলক্ষে এই ১০৭ উপজেলায় মোতায়েন ছিল পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার, এপিবিএন বিজিবির দেড়লাখ সদস্য। এবার প্রতিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান এই তিনটি পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। ১০৭টি উপজেলার মধ্যে ৫০টি উপজেলা ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনা করে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের একটি নির্বাচনি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করেছেন উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (টিউবওয়েল মার্কা) ওমর বাবু ওরফে বাবুল হোসেনের সমর্থকরা। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৩০ মার্চ) রাত ১টার দিকে ইউনিয়নের বরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমান জানান, ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টার সময় মোটরসাইকেলসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে।
চতুর্থ ধাপে ১০৭টি উপজেলা নির্বাচনে ১ হাজার ১৪২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮৪টি উপজেলায় ২৯২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০০ উপজেলায় ৪৮৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯৬ উপজেলায় ৩৬৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ কোটির বেশি এবং কেন্দ্রের সংখ্যা সাড়ে আট হাজার।
এই ধাপের ছয় উপজেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। উপজেলাগুলো হলো, বাগেরহাট সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ৯১), ফেনী সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ১২৭), মুন্সীগঞ্জ সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ১১৬), ময়মনসিংহ সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ১০০) ও পটুয়াখালী সদর (কেন্দ্র সংখ্যা ৮৯)।
এবার মোট ১২২টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এছাড়া, আগের তিন ধাপে স্থগিত হওয়া ৬টিসহ মোট ১২৮টি উপজেলায় চতুর্থ ধাপে নির্বাচনের কথা ছিল। এর মধ্যে খুলনার ডুমুরিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, কুমিল্লার বরুডা উপজেলার নির্বাচন আদালতের আদেশে স্থগিত করা হয়েছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এবং নোয়াখালীর কবির হাটের নির্বাচন সহিংসতার আশঙ্কায় ইসি স্থগিত করেছে। এছাড়া ১৫ উপজেলায় সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ভোট হচ্ছে না। ফলে চতুর্থ ধাপে নির্বাচন হচ্ছে ১০৭ উপজেলায়।
সারাবাংলা/এসএমএন