Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাদকাসক্তদের ৮০ ভাগই যুবক


১ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৩১

‘বাংলাদেশে মাদকাসক্তদের মধ্যে ৮০ ভাগ যুবক, এর মধ্যে ৪৩ ভাগই বেকার। ৬০ ভাগ মাদকাসক্ত বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও মাদকাসক্তদের মধ্যে ৪০ ভাগ অশিক্ষিত এবং ৪৮ ভাগ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষিত।’

সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশের ‘তরুণ সমাজ ও মাদকাসক্তি: বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে এই অনুষ্ঠান হয়।

বিজ্ঞাপন

‘ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতর এবং মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)’ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানস) সভাপতি ড. অরূপ রতন চৌধুরী।

মূল প্রবন্ধে অরূপ রতন চৌধুরী মাদক গ্রহণের কারণ, ক্ষতিকর প্রভাব, মাদক চোরাচালানের পথ হিসেবে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করার বিভিন্ন দিক ও কারণ তুলে ধরেন। পাশাপাশি মাদক দমনে নতুন আইন, মাদক দমনের অন্তরায়, মাদকরোধে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘সিগারেটই সব ধরনের মাদক গ্রহণের মূল হোতা। যিনি ধূমপান করেন, তার অন্যান্য মাদক গ্রহণের সম্ভাবনাও বেশি। দেখা যায়, মাদকদসেবীদের মধ্যে ৯৮ ভাগই ধুমপায়ী। এছাড়া মাদকদসেবীদের ৫৭ ভাগ যৌনকর্মী। যারা ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণ করেন, তাদের মধ্যে ৭ ভাগই এইচআইভিতে আক্রান্ত। উদ্বেগের বিষয় এই যে নারী ও পথশিশুরা মাদক গ্রহণ থেকে শুরু করে বিক্রয় ও বহনে অধিক হারে যুক্ত হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের ডোপ টেস্ট এবং ‘ড্রাগ ড্রাইভার ল’ চালু করার দাবিও জানান।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আগে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালগুলোর শিক্ষার্থীরা মাদক নিতো। যখন এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালানো হলো, তখন দেখা গেলো তাদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর যোগাযোগ রয়েছে। এটি আমাকে ব্যথিত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এখানেও যদি নেশার মরণ থাবা পড়ে, তাহলে আমরা কোথায় যাবো?’

২০১৬ সালে দুদকের পক্ষ থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কাছে মাদক ব্যবসার গডফাদারদের তালিকা চাওয়া হয়েছিলো উল্লেখ করে দুদক পরিচালক ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সারাদেশ থেকে তখন তিনশরও বেশি নাম আমরা পাই। তবে দুঃখের বিষয় এই যে, এ বিষয়ে যখন তদন্ত শুরু হয়, তখন দেখা যায় প্রায় সবারই ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিলো। পরে ফের নতুন করে তালিকা দেওয়া হলে দুর্নীতির দায়ে একজন জনপ্রতিনিধিকে ধরা হয়।’

এরইমধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য ১২ জন গডফাদারের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তবে গণসচেতনতা সৃষ্টি না হলে কোনো চেষ্টাই সফল হবে না। দুর্নীতির সঙ্গে মাদক, অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অব্যবস্থাপনা সবকিছু জড়িত।’ এসময় তিনি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য মাদক নিয়ন্ত্রণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র-নির্দেশনা ও পরামর্শদান দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মেহজাবীন চৌধুরী।

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর