তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরিই এখন মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
৩ এপ্রিল ২০১৯ ১১:২০
ঢাকা: দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার খুব ভাল লাগছে অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসে ব্যবসার হাল ধরছে। শিল্পায়ন নিয়ে কাজ করছে। এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি। আমার মূল লক্ষ্যই এখন কর্মসংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য বিমোচন করা। এসব পদক্ষেপেই দেশের জিডিপি এখন ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছে গেছে।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ‘সিটি ইকোনমিক জোন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন, ১৩টি অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০টি শিল্পকারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি কোনো দেশ এগুতে পারে, তাহলে উন্নয়ন সম্ভব গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার তা প্রমাণ করেছে। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়নি বলে জানান শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির পিতা যা যা করা প্রয়োজন তাই করে গিয়েছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি প্রতিটি উন্নয়নের শুরুটা করেছিলেন। তিনি ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ করতে চেয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। অবহেলিত শোষিত-বঞ্চিত মানুষদের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই ছিল জাতির জনকের উদ্দেশ্য। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই চাকরি-বাকরি, ব্যবসা বাণিজ্য বাংলাদেশ এখন উন্নতি করতে পেরেছে।
প্রায় এক দশক রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার ফলে আমাদের যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ছিল তা করতে পেরেছি। শিল্পায়ন ছাড়া একটি দেশের অর্থনীতি কখনো বিকশিত হয়না। ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। যেন কৃষি জমি নষ্ট না করে শিল্প বিকশিত করা যায় সেই চেষ্টা করেছি।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব সেটি আমরা গত দশ বছরে প্রমাণ করেছি। যখন আমরা সরকার গঠন করি তখন ছিল বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা আমরা সে সময় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রের হার ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে নেমেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করেছি। এভাবেই সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনায় রয়েছে।
সারাবাংলা/জেএএম