চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিক-কর্মচারিরা। অবরোধের কারণে সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাংশে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীতে আটকা পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী একটি শাটল ট্রেন। তবে, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে নগরীর আমিন জুটমিলের সামনের সড়কে অবস্থান নেয় কয়েক’শ শ্রমিক-কর্মচারি। বিক্ষোভরত শ্রমিক-কর্মচারিদের আরেক অংশ আমিন জুটমিল সংলগ্ন রেললাইনের উপর অবস্থান নেয়।
নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (বায়েজিদ বোস্তামি জোন) পরিত্রান তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘অবরোধের কারণে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমিন জুটমিলের সামনের সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সাড়ে ৮টার দিকে একটি শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে আমিন জুটমিল এলাকায় এসে আটকে পড়ে। আমরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে রেললাইন থেকে সরিয়ে নিলে আধাঘন্টা পর ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলে যায়। সাড়ে ১১টার দিকে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গিয়ে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছেন।’
এদিকে, সীতাকুণ্ডের হাফিজ জুটমিলের শ্রমিকরা সকাল ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেয় বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন।
ওসি দেলোয়ার সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা মহাসড়কের একপাশ দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে কিছুক্ষণ মহাসড়কে অবস্থান করে। এসময় মহাসড়কের একপাশ দিয়ে সাময়িক যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে শ্রমিকরা এখন মহাসড়ক থেকে সরে গেছেন।’
বকেয়া বেতন, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ নয় দফা দাবিতে গত ২ মার্চ থেকে এই আন্দোলন চলছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকালও (মঙ্গলবার) শ্রমিকরা চট্টগ্রামে রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করে।
বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীন ১০টি পাটকলের মধ্যে আছে- আমিন জুট মিলস লিমিটেড ও ওল্ড ফিল্ডস লিমিটেড, গুল আহমেদ জুট মিলস লিমিটেড, হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড, এমএম জুট মিলস লিমিটেড, আর আর জুট মিলস লিমিটেড, বাগদাদ-ঢাকা কার্পেট ফ্যাক্টরী লিমিটেড, কর্ণফুলী জুট মিলস লিমিটেড, ফোরাত কর্ণফুলী কার্পেট ফ্যাক্টরী, গালফ্রা হাবিব লিমিটেড ও মিলস ফার্নিসিং লিমিটেড।
সারাবাংলা/আরডি/জেএএম