৮৮ সাল থেকে জাল রুপি তৈরি করছে দরুদুজ্জামান: ডিএমপি
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৪৩
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ভারতীয় জাল রুপি তৈরির অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক দরুদুজ্জামান ১৯৮৮ সাল থেকে এ কাজ করে আসছে। এজন্য বিভিন্ন সময় তাকে গ্রেফতার করা হলেও আইনী মারপ্যাঁচে জামিনে বের হয়ে যেতো সে। জেল থেকে বের হয়ে আবারো সেই পুরনো প্রতারণায় ফিরে যেতো সিন্ডিকেটসহ।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য।
ডিবির ওই সংবাদ সম্মেলন তিনি আরো বলেন, রাজধানীর শেরেবাংলানগর ও রাজশাহী মহানগরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল রুপি তৈরি চক্রের গুরু দরুদুজ্জামান বিশ্বাস ওরফে জামান ও তরিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতদের কাছথেকে ১২ লাখ ২৮ হাজার ভারতীয় জাল রুপি, জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার মেশিন, লেমিনেটিং মেশিন, হ্যালোজেন লাইট, স্ক্যানিং করার প্রিন্টার ফ্রেম, সাদা কাগজ, বিভিন্ন ধরনের কার্টিজ ও মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, বারবার গ্রেফতার হওয়ার পরেও জামিনে বের হয়ে ফের জাল রুপি তৈরি করে প্রতারণা করতো প্রতারক চক্রটি। তারা ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এক লাখ ভারতীয় বিক্রি করতো। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় তাদের তৎপরতা ছিলো বেশি-এমন তথ্য ডিবির কাছে ছিলো। চক্রটি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পর থেকে আমরা কাজ শুরু করি।
এদিকে আরেক অভিযানে রাজধানীর মগবাজার ও গাজীপুর থেকে জাল টাকা তৈরি চক্রের সদস্য মজিবুর রহমান ও জয়নুল আবেদীনকে গ্রেফতার করে ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। গ্রেফতারদের কাছথেকে ২০লাখ জাল টাকা,জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার মেশিন, কি বোর্ড, মাউস, এন্টি কাটার, স্কেল, সাদা কাগজ, কাঠের ডাইস উদ্ধার করা হয়।
ডিবির এ কর্মকর্তা আরো বলেন, দরুদুজ্জামান আমাদের মোস্ট ওয়ানটেড তালিকায় ছিল। তার নামে ৬টি মামলা রয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে আদাবর থানায় দরুদুজ্জামানসহ তার চক্রের ৮ জন গ্রেফতার হয়। পরে সে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও এ প্রতারণা শুরু করে।
সারাবাংলা/এসআর/টিএম