আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে বাণিজ্যিক করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
৩ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:৩৭
ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। আগামী পাঁচ বছরে সত্যিকার অর্থে কৃষিকে বাণিজ্যিক করা হবে। সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দেয়া যাবে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) ঢাকায় প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ ২০১৯ এ এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। তাই কৃষিকে পাঁচ বছরের মধ্যে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করা হবে। এতে করে আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারবো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। নতুবা এত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হতো না । এবার খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। লক্ষ্যের চাইতেও ১৩ লাখ টন বেশী খাদ্য উৎপাদন হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মিডিয়া অনেক বিধিবহির্ভূত কাজ ও অর্জন গণমাধ্যমে তুলে ধরে। গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। কৃষির সার্বিক উন্নয়নের জন্যেও মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মিডিয়া বিদেশি বিনিয়োগ,রপ্তানিসহ কৃষকদের কাছে কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য দিয়ে সাহায্য করে।
মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটূক্তি করতো। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে। অন্যান্য খাতেও উন্নয়নের মাধ্যমে সকলের আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করেছে সরকার। বর্তমানে আমরা কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুত আমরা এই কাজও করতে পারবো। তাদের আশংকা আমরা বার বার মিথ্যা প্রমাণ করবো।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান ও কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম রেজা বিশেষ অতিথি সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে এক মুক্ত আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ এই মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। আলোচনাতে কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকেরা। এ ছাড়াও তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, কৃষির উন্নয়ন, কৃষি পণ্যে রপ্তানীসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সারাবাংলা/এইচএ/এসবি