বছরে ২ জোড়ার বেশি জুতা কিনতে পারেন না এক-তৃতীয়াংশ রাশিয়ান
৪ এপ্রিল ২০১৯ ১১:৩৭
অর্থাভাবে বছরে দুই জোড়ার বেশি নতুন জুতা কিনতে পারেন না এক-তৃতীয়াংশ রুশ নাগরিক। পরিসংখ্যান সংস্থা রসট্যাটের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে। খবর বিবিসির।
রসট্যাটের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রুশ সরকার। ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ এক বক্তব্যে বলেছেন, তিনি এই জরিপ বুঝে ওঠতে পারছেন না।
রসট্যাটের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের জরিপ করা বাড়ির ব্যক্তিরা বছরে দুই জোড়ার বেশি নতুন জুতা কিনতে পারেন না। এছাড়া, মাসের শেষে নৈমিত্তিক প্রয়োজন মেটাতে হিমশিম খেতে হয় ৮০ শতাংশ রুশ পরিবারকে।
বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা নেই সরকারি কর্মকর্তাদের
বিবিসি জানিয়েছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় রুশদের আর্থিক উন্নয়ন ঘটেছে। কিন্তু প্রতিবেদনটি নিয়ে পেসকভের বিরক্তি এটা প্রকাশ করে যে, দেশের বাস্তবতা সম্পর্কে ধারণা নেই সরকারি কর্মকর্তাদের।
প্রতিবেদনটি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেলে জানান, এই তথ্য বুঝে ওঠতে পারছে না ক্রেমলিন।
পেসকভ বলেন, জুতাই কেন? এক-তৃতীয়াংশ কেন? এই তথ্য কোন জায়গার? এসব বিষয়ে রসট্যাট ব্যাখ্যা দিলে তিনি খুশি হবেন।
প্রসঙ্গত, রসট্যাট প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর রাশিয়ায় জীবনযাপনের মান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি অনলাইনে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ জরিপটি করা হয় গত বছরের সেপ্টেম্বরে। রাশিয়ার প্রায় ৬০ হাজার বাড়ির ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
জুতা কেনার তথ্য ছাড়াও রসট্যাটের প্রতিবেদনে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় অন্যান্য দিকও ওঠে এসেছে। বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেক বাড়ির সদস্যরা বছরে এক সপ্তাহও ছুটি কাটাতে পারে না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১০ শতাংশ সপ্তাহে তিন বেলার বেশি মাংস বা মাছ খেতে পারে না; ১২.৬ শতাংশ বাড়ির ভেতরে হয়তো একটি করে টয়লেট রয়েছে বা বাড়ির বাইরে টয়লেট রয়েছে। গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে বাড়ির বাইরে টয়লেট থাকার হার আরও বেশি- ৩৮ শতাংশ।
রসট্যাটের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ৫২.৯ শতাংশ বাড়ির সদস্যরা অপ্রত্যাশিত খরচ বহন করতে পারে না- যেমন, বাড়ি মেরামত, চিকিৎসা খরচ। ২০১৬ সালে এই হার ছিল ৪৪.২ শতাংশ।
এই হার কমলেও অন্যান্য অবস্থার উন্নতি হয়েছে। যেমন, দুই বছর আগে ১৫ শতাংশ বাড়ির ভেতর কোনো টয়লেট ছিলো না। পাশাপাশি সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে পারতো না ৫৪ শতাংশ মানুষ।
সারাবাংলা/আরএ