টেন্ডারবাজি নিয়ে গণপূর্ত কার্যালয়ে মারামারি, গ্রেফতার ১৫
৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:০২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঠিকাদারি কাজের আধিপত্য নিয়ে চট্টগ্রামের গণপূর্ত কার্যালয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদে সরকারি কার্যভবনে-১ (সিজিএস বিল্ডিং) এই ঘটনা ঘটেছে।
গ্রেফতার নেতাকর্মীরা হলেন- মো. ইলিয়াস (২৮), রাতুল হাসান রানা (২৪), সজীব খন্দকার (২৩), হাসান মুরাদ (৩২), আবুল মনছুর (২৯), শাহ মোহাম্মদ (৩২), মো. সামসুদ্দিন (৩৯), মোহাম্মদ ফাইজুল ইসলাম (২২), মো. জামশেদ (২৫), মো. জালাল (৩৫), ফয়সাল খান (২০), মো. ইউসুফ (১৮), মো. রাকিব (১৯), জসিম উদ্দিন (৩৮) এবং মো. নূরুন্নবী (২৯)।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ সারাবাংলাকে বলেন, সিএমপির ভবন তৈরির ঠিকাদারি কাজ নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ঠিকাদারদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি-মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সেখান থেকে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিএমপি’র ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছেন মোস্তফা কামাল টিপু নামে নগরীর পাঠানটুলি এলাকার যুবলীগের এক নেতা। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার দুপুরে টিপু অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। এসময় বাইরে তার অনুসারীরা অবস্থান করছিলেন।
দুপুর ১২টার ৫০ মিনিটের দিকে আরেক দল যুবক স্লোগান দিতে দিতে সিজিএস বিল্ডিংয়ের দোতলায় উঠে যান। সেখানে পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও মহড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে সেখান থেকে নামিয়ে দেন। আটক করা হয় ১৫ জনকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন বাচ্চুর অনুসারী একজনও সিএমপি’র ভবন তৈরির কাজটি পাবার চেষ্টা করেছিলেন। মূলত তার অনুসারিরা টিপুর কাজ পাওয়ার খবরে সিজিএস বিল্ডিংয়ে গিয়ে মহড়া দেন।
ঘটনার পর টিপুকেও থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ওসি সদীপ।
এদিকে আটক ১৫ জনের মধ্যে জামশেদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা আছে। হাসান মুরাদ, আবুল মনছুর, জসিম ও জালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ