যাত্রাবাড়ীর ওসি, দুই এসআইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:০৮
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ও দুই এসআইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। পরে বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া, এসআই আ স ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু। এছাড়া বাকি আটজন হলেন মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশি।
মামলার এজাহারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারার অপহরণ এবং ৯(৩) ধারায় গণধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বর্ণনায় ওসি এবং দুই এসআই-এর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই। মামলা না নিতে চাওয়ায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম দুই সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় অভাব-অনটনের কারণে কাজের সন্ধান করেন। পূর্বপরিচিত আসামি শফিকুল ইসলাম রনি বাদীকে গত ১২ মার্চ অনলাইনে থ্রি-পিস ও শাড়ি কেনা-বেচার একটি প্রতিষ্ঠানে কমিশনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে করাতিটোলা ফারজানা আক্তার শশি ও বিলকিস আক্তার তাকে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। বাদী ডাক-চিৎকার দিলে আসামি শশি ও শিলা তার গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিন বাদীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে। তারাসহ আরও ১০-১২ জন লোক ইয়াবা সেবন করে বাদীকে ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনায় বাদী থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদিনীকে প্রস্তাব দেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই, প্রদীপ কুমার ও আয়ান মামুদকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে। পরে গত ১৮ মার্চ ঘুষের টাকা না দিতে পারায় বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে আসামি শিলা ও শশিসহ আদালতে প্রেরণ করেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই, মাহমুদুল হাসান ও লাইজু। বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে আদালতে পাঠানো হলে ধর্ষণের ঘটনা চাপা পড়ে যায়।
ওই ঘটনায় বাদী নারী শিশু ট্রাইব্যাল এ মামলাটি দায়ের করেন।
সারাবাংলা /এআই/এমআই