Friday 11 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যাত্রাবাড়ীর ওসি, দুই এসআইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা


৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৯:০৮ | আপডেট: ৪ এপ্রিল ২০১৯ ২০:০২

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ও দুই এসআইসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। পরে বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া, এসআই আ স ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু। এছাড়া বাকি আটজন হলেন মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশি।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারার অপহরণ এবং ৯(৩) ধারায় গণধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বর্ণনায় ওসি এবং দুই এসআই-এর বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই। মামলা না নিতে চাওয়ায় ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম দুই সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় অভাব-অনটনের কারণে কাজের সন্ধান করেন। পূর্বপরিচিত আসামি শফিকুল ইসলাম রনি বাদীকে গত ১২ মার্চ অনলাইনে থ্রি-পিস ও শাড়ি কেনা-বেচার একটি প্রতিষ্ঠানে কমিশনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে করাতিটোলা ফারজানা আক্তার শশি ও বিলকিস আক্তার তাকে তাদের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়।এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। বাদী ডাক-চিৎকার দিলে আসামি শশি ও শিলা তার গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিন বাদীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে। তারাসহ আরও ১০-১২ জন লোক ইয়াবা সেবন করে বাদীকে ধর্ষণ করে।

বিজ্ঞাপন

ওই ঘটনায় বাদী থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদিনীকে প্রস্তাব দেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই, প্রদীপ কুমার ও আয়ান মামুদকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে। পরে গত ১৮ মার্চ ঘুষের টাকা না দিতে পারায় বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে আসামি শিলা ও শশিসহ আদালতে প্রেরণ করেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই, মাহমুদুল হাসান ও লাইজু। বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে আদালতে পাঠানো হলে ধর্ষণের ঘটনা চাপা পড়ে যায়।

ওই ঘটনায় বাদী নারী শিশু ট্রাইব্যাল এ মামলাটি দায়ের করেন।

সারাবাংলা /এআই/এমআই

ধর্ষণ মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর