ঢাকা রেলস্টেশন ও ত্রিশাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের হানা

ঢাকা: নানা অভিযোগে ঢাকা রেলস্টেশন ও ত্রিশাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক)।বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলাকে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।

প্রণব কুমার বলেন, ‘নানা অনিয়মের অভিযোগে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এর আগে দুদক অভিযোগকেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আসা একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলার নেতৃত্বে পুলিশসহ আট সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম সকালে অভিযান চালায়। এসময় টিকেট কালোবাজারির অভিযোগের বিষয়ে দুদক টিম স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হকের সঙ্গে কথা বলে। টিম তার উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাউন্টার পরিদর্শন করে এবং সেবা প্রদানের মানোন্নয়নের পরমর্শ দেন।’

কমলাপুর রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার জানান, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হবার পর কালোবাজারি আশাব্যঞ্জক হারে হ্রাস পেয়েছে। সকল ট্রেনের টিকেট ক্রয়ের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হলে কালোবাজারি শূন্যের কোটায় নেমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ জানান।’

এদিকে জামালপুরগামী ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি কিছু পুলিশ সদস্য দখল করে টিকিটধারী যাত্রীদের আসন পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছেন, এরকম একটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে এনফোর্সমেন্ট টিম। তাৎক্ষণিকভাবে জিআরপি থানার এসপি (প্রশাসন) শেহেলী পারভীন এ বিষয়ে ট্রেন গার্ডের দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

অন্যদিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুপুরে ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম বজলুর রশিদের নেতৃত্বে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম একটি অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে দুদক টিম জানতে পারে, দফতরের সাব-রেজিস্ট্রার ফারুক আহমেদ-এর বিরুদ্ধে জাল দলিলের মাধ্যমে পৌনে চার একর জমি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসময় জনরোষের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বদলি করেছে। দুদক টিম জাল দলিলের অভিযোগ সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র জব্দ করে।

সারাবাংলা/এসজে/এমআই