সেচ সংকটে ফসলহানির শঙ্কা
৫ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:০৮
জয়পুরহাট: জেলার কালাই উপজেলার হারুঞ্জা গ্রামে পল্লী উন্নয়ন একডেমীর (আরডিএ) ‘সমন্বিত পানি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রকল্পে’র আওতায় স্থাপিত একটি গভীর নলকূপের ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন কেটে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ফলে সেচ অভাবে শতাধিক বিঘা জমির ফসল (ইরি-বোরো) হানির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। ভুক্তভোগীরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান দাবি করেছেন।
আরডিএ স্থাপিত গভীর নলকূপের স্কিমভুক্ত কৃষক বেলাল হোসেন, মিষ্টি মাহবুবা, রুহুল আমিন জানান, এ স্কিমে তারা প্রত্যেকেই দুই থেকে সাড়ে চার বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছেন। সেচ অভাবে তাদের জমিগুলোর মাটিতে চিড় ধরেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেচ দেওয়া না গেলে ঘরে ফসল উঠবে না।
কৃষক আমির হোসেন, বিমল ও বজলুর দাবি—এ পর্যন্ত সব মিলে বিঘাপ্রতি তাদের খরচ হয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা। তাই সেচ দেওয়া না তাই সেচ অভাবে তারা ফসলহানির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
প্রকল্পের সভাপতি মহসীন আলী মাসুদ জানান, ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালে খাবার পানি ও সেচ মেগা প্রকল্পের ওই নলকূপ স্থাপন করা হয়। প্রকল্পটি চালু হওয়ায় অন্তত একশ বিঘা জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসে। এ ছাড়া পাইপলাইনের মাধ্যমে ১১০ পরিবার পাচ্ছে আর্সেনিকমুক্ত খাবার পানি।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আত্মনির্ভরশীল হওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পের প্রশিক্ষিত ১৪০ কৃষকরা স্বল্প সুদে পেয়েছেন ১৬ লাখ টাকার ঋণ সহায়তা। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে সেচ লাইসেন্স প্রদান করলেও অজ্ঞাত কারণে তার নাম রেজিস্টারে না তোলায় পুনরায় লাইসেন্সের জন্য আবেদনও করেছেন। এ ইস্যুতে গত ৪ মার্চ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন আরডিএ’র অর্থায়নে স্থাপিত এ গভীর নলকূপের ভূ-গর্ভস্থ পাইপ লাইন কেটে দেওয়ায় ইরি-বোরো ধানের অনেক জমি ফেটে চৌচির হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহা. যোবায়ের হোসন জানান, এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/একে