ঢাকার খালগুলো রক্ষায় কর্ম-পরিকল্পনার নির্দেশ হাইকোর্টের
৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:০২
সারাবাংলা প্রতিবেদক
ঢাকা শহরে অবস্থিত ৫০টি খালের বর্তমান অবস্থান, সীমানা নির্ধারণ, দখল ও দূষণকারীদের তালিকা তৈরি ও খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ওয়াপদা’র মহাপরিচালক, ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঢাকার খালগুলোর দখল-দূষণ, রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে গত সপ্তাহে বেলার পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন, মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাঈদ আহমেদ কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টিতেই ঢাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো খালগুলোকে ভরাট করা। এসব খালের আদি গতিপথ অনুযায়ী দখল মুক্ত করতে আমরা রিটটি দায়ের করেছি। সেটির শুনানি নিয়েই আদালত খাল রক্ষায় একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশসহ রুল দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “ঢাকার পূর্ব ও পশ্চিমভাগে মোট ৫০টি খালের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৬টি খালের পুনরুদ্ধার এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এসব খালের মধ্যে রয়েছে কল্যাণপুর খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, কাটাসুর খাল, ইব্রাহীমপুর খাল, কালশী খাল, আব্দুল্লাহপুর খাল, দিয়াবাড়ী খাল, গুলশান-বনানীর খাল রয়েছে।”
ঢাকার খালগুলোর দূষণ-দখল রোধ এবং প্রবাহরোধ বন্ধে বিবাদিদের নিস্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দখল হওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধারে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
ভূমি সচিব, পরিবেশ সচিব, পানিসম্পদ সচিব, গণপূর্ত সচিব, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/আইজেকে/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭