বিজিএমইএ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে: কমিশন
৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:০৫
ঢাকা: চলমান বিজিএমইএ নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর নির্বাচন নিয়ে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেলের নানা অভিযোগ থাকলেও সন্তুষ্ট তারা। অন্যদিকে, সম্মিলিত ফোরাম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে খুশি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে সংগঠনটির নির্বাচন চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০১৯-২১ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব নির্বাচনে সকাল ৮ টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হওয়া ঢাকায় এই ভোট চলবে বিকাল চারটা পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত চারশো ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অংশ নেয়া স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল লিডার জাহাঙ্গীর আলম ভোটকেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। প্রার্থীরা এজেন্ট হওয়ায় তাদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে কমিশন বলছে, প্রার্থীরা এজেন্ট হতে পারেনা। এমন অভিযোগের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও ‘সন্তুষ্ট’ স্বাধীনতা পরিষদ। প্যানেলটির লিডার জাহাঙ্গীর আলম তাই ভোট গণনার সময় কেন্দ্রের ভেতরে থাকতে সম্মিলিত ফোরামের লিডার রুবানা হকের দ্বারস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে রুবানা হক বলছেন, আপনারা অবশ্যই ভেতরে থাকবেন। তবে, এর এখতিয়ার কমিশনের।
এদিকে, ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন দুই প্যানেল লিডার জাহাঙ্গীর ও রুবানা। ভোট গণনার সময় ভেতরে থাতে পারার জন্যে রুবানার কাছে আকুতি জানান জাহাঙ্গীর। জবাবে রুবানা বলেন, অবশ্যই থাকবেন। এটা নিয়ে আমার আপত্তি থাকার কথা নয়। পরে একই বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর সারাবাংলাকে বলেন, ভোট গণনার সময় ভেতরে থাকার বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কমিশন অনুমতি দিলে তার কোনো আপত্তি নেই।
তবে, কমিশনার নিহাদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সম্মিলিত-ফোরামের প্যানেল লিডার রুবানা হক বলেন, এটা আমাদের জন্য একটি শুভ মুহূর্ত। আমরা সবাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করছি, এটা অনেক বড় কথা। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ও ভোটের ফলাফল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল যাই হোক তা সানন্দে গ্রহণ করবো। নির্বাচিত হলে ছোট বড় সকল পোশাক কারখানার উন্নয়নে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল লড়ছে। সম্মিলিত-ফোরামের নেতৃত্বে রয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। আর স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্বে রয়েছেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
বিজিএমইএর পরিচালক পদের সংখ্যা ৩৫। সমসংখ্যক এই পদের বিপরীতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রামে শুধুমাত্র একটি প্যানেলের প্রার্থী থাকায় ঢাকায় ২৬ পরিচালক পদের বিপরীতে দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। স্বাধীনতা পরিষদ চট্টগ্রামে প্রার্থী না দেয়ায় সেখানে সম্মিলিত ফোরামের ৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ঢাকার বিজিএমইএর কার্যালয়ে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট হবে। এবার মোট ভোটার ১ হাজার ৯৫৬ জন। তার মধ্যে ঢাকার ১ হাজার ৫৯৭ এবং ৩৫৯ জন চট্টগ্রামের।
সম্মিলিত-ফোরামের প্রার্থীরা হলেন হলেন রুবানা হক,এস এম মান্নান, ফয়সাল সামাদ, মোহাম্মদ নাছির,আসিফ ইব্রাহিম, আরশাদ জামাল, এম এ রহিম, কে এম রফিকুল ইসলাম, মো. শহীদুল হক, মশিউল আজম, ইনামুল হক খান, মাসুদ কাদের, ইকবাল হামিদ কোরাইশী, নাছির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন,সাজ্জাদুর রহমান মৃধা, রেজওয়ান সেলিম, মুনির হোসেন, এ কে এম বদিউল আলম, মিরান আলী,মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, মোশারফ হোসেন ঢালী,শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, মহিউদ্দিন রুবেল, শরীফ জহির ও নজরুল ইসলাম। চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই প্যানেলের বিজয়ীরা হলেন মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, এ এম চৌধুরী, এ এম মাহবুব চৌধুরী, এনামুল আজিজ চৌধুরী, মোহাম্মদ আতিক, খন্দকার বেলায়েত হোসেন,অঞ্জন শেখর দাশ, মোহাম্মদ মুছা ও মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা।
অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থীরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন রশিদ, রফিক হাসান, সাইফুল ইসলাম, শওকত হোসেন, খন্দকার ফরিদুল আকবর, জাহাঙ্গীর কবির, জাহিদ হাসান,শরিফুল আলম চৌধুরী, কাজী আবদুস সোবহান,জহিরুল ইসলাম, কাজী মাহয্যাবিন মমতাজ, মাহমুদ হোসাইন, হোসেন সাব্বির মাহমুদ, আয়েশা আক্তার,মো. ওয়ালীউল্লাহ এবং ওমর নাজিম হেকমত।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম