Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে সেই শিক্ষার্থীর


৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৫০

ঢাকা: ফেনীর সোনাগাজীতে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করায় এক ছাত্রীর গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারই সহপাঠীরা! হত্যাচেষ্টার শিকার ওই শিক্ষার্থীর শরীরের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। এই পুড়ে যাওয়া অংশের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ‘ডিপ বার্ন’।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসকরা সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তারা জানান, মেয়েটির মুখ, মাথা, বাম হাতের একটুখানি আর দুই পায়ের পাতা ছাড়া শরীরের কোনো অংশই পোড়া থেকে বাকি থাকেনি। এরইমধ্যে তার অস্ত্রোপচারও হয়েছে। সে এখনও আশঙ্কামুক্ত নয়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর গায়ে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে সহপাঠীদের ‍বিরুদ্ধে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রীর ভাই জানান, শনিবার সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে তার বোন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে যান। ওই সময় তার বোনকে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আনা হয়েছে।

সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল আলম বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের জানান, মেয়েটির শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে তার। এখন অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

‘বল সব মিথ্যা, ২৭ তারিখের যৌন হয়রানি মিথ্যা’

সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। এর আগে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর অধ্যক্ষের অনুগত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অধ্যক্ষের শাস্তি চেয়ে মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সারাবাংলা/জেএ/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর