দুই পুলিশের কাণ্ডে আদালতের ক্ষোভ
২৪ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:৪২
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গুলিভর্তি পিস্তলসহ ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক আজমত রহমানকে আটক করার পর মামলা না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশানে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও সহিদুল করিমের বেঞ্চ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে গুলিভর্তি পিস্তলসহ যাত্রী আটক হওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে- ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-ই-আজম মিয়া ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত সাহার বিরুদ্ধে।
এদিন আদালতের নির্দেশে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তারা। নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে তারা বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।’
আদালত আগামী ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের দিন ঠিক করেন। শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। অন্যদিকে দুই পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।
ফরহাদ আহমেদ জানান, গুলিভর্তি পিস্তলসহ ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক আজমত রহমানকে আটক করার পর নিয়মিত মামলায় তাকে আদালতে না পাঠিয়ে তার বাবা ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আতাহার উদ্দিনের জিম্মায় দিয়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে। এটি পত্রিকায় প্রকাশ পায় গত ১০ ডিসেম্বর। এর দুই দিন পর অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত খবরটি আমি আদালতের নজরে আনি। আদালত তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি বিমানবন্দর থানার ওসি ও এসআইকে ২২ জানুয়ারি হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে আদেশ দেন। সরস্বতী পূজার কারণে ২২ জানুয়ারি কোর্ট বন্ধ থাকায় আজ তারা হাজির হন।
অস্ত্রের লাইসেন্স যাচাই না করেই আসামিকে তার বাবার জিম্মায় দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে- এ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা যেসব সোনার বার জব্দ হয়, সেগুলোর পরিমাণ স্বল্প হলে দ্রুত চার্জশিট পুলিশ- অথচ সোনার পরিমাণ একশ’ বা দুইশ’ কেজি হলে চার্জশিট জমা দিতে সময় লাগে বছরের পর। পুলিশের এমন আচরণেও ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি