স্কুল ছাত্র হত্যা: নিখোঁজের সাত দিন পর লাশ উদ্ধার
৮ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৪২
ফেনী: ফেনীতে নিখোঁজের সাতদিন পর আরাফাত হোসেন শুভর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ এপ্রিল) ভোরে শহরতলীর তেমুহনি বাজার সংলগ্ন মাথিয়ারায় একটি ঝোপঝাড় থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আরাফাত হোসেন শুভ পাশ্ববর্তী কাশিমপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় মাদার কেয়ার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
নিহতের চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিহত শুভদের সাথে এলাকার কারও কোনো বিরোধ নেই। তবে আমরা শুনেছি এলাকার কিছু ছেলেকে বড় ভাই না ডাকার কারণে তার ওপর এমন নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
নিহত আরাফাত হোসেনের নানা আহছান উল্যাহ জানান, গত ৩১ মার্চ বিকেলে সাইকেল নিয়ে বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয় শুভ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে স্বজনরা ফেনী মডেল থানার পুলিশকে অবগত করেন। পুলিশ শুভকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। ঘটনার পর থেকে এলাকা ত্যাগ করা কয়েক জনকে সন্দেহ করে তাদের মধ্য থেকে শুভর এক সহপাঠীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যে ওই রাতেই তেমুহনি বাজারের মাথিয়ারার একটি দোকানে তার সাইকেল পাওয়া যায়। এরপর ওই দোকানের পেছনের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির ঝোপঝাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন ফেনী মডেল থানার উপ–পরিদর্শক সুরেজীত বডুয়া।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটকৃতরা মোবাইলে টিকটক খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যার কথা বললেও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবু তাহের জানান, নিহতের শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএসও