Saturday 26 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্য মেলায় ‘টাকার ফেরিওয়ালা’


২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১০:৩১
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরিফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ‘ টাকা লাগবে, ভাংতি টাকা? হাজারে ১০ টাকা নিচ্ছি, টাকা লাগবে, ভাংতি টাকা।’ এভাবেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দোকানে দোকানে ভাংতি টাকা ফেরি করছেন আবদুস সাত্তার।

বাণিজ্য মেলার শুরুর দিন থেকে সকাল-সন্ধ্যা টাকার ফেরি করে চলছেন মাঝবয়সী সাত্তার। তিনি জানান, বছরের ১১ মাস রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। আর বাণিজ্য মেলার ১ মাস মেলায় টাকা ফেরি করেন তিনি। মেলা শেষে আবার আগের পেশায় ফিরে যান সাত্তার।

গত ১৫ বছর ধরে বাণিজ্য মেলায় টাকা ফেরি করছেন বলে জানান এই টাকার ফেরিওয়ালা। কাজের অবসরে সারাবাংলার এই প্রতিবেদকের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় সাত্তারের। জানালেন,মিরপুরে স্ত্রী আর তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে তার সংসার। প্রতিমাসে ঘরভাড়া আর সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তাই এই একমাস কিছুটা বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে নেন।

বিজ্ঞাপন

জানালেন, প্রতিদিন ব্যাংকের পরিচিত একজনের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা ভাংতি করান। সবগুলোই একশ বা পঞ্চাশ টাকার নোট। ছুটির দিনগুলোতে দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায় ভাংতি টাকার বান্ডেল।

সাত্তার বললেন,‘মূলধনটা বেশি হলে লাভের অংকও বেশি হত। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব। পরিচিতদের কাছ থেকে ধার করেই এবারের মূলধন জোগায়াছি।’

সাত্তার জানালেন, এবার তার সাথে আরও একজন যোগ দিয়েছে। তারা দুইজন বাণিজ্য মেলায় ভাংতি টাকা ফেরি করেন। মেলায় ঢোকার জন্য তারা পাস করে নিয়েছেন। টাকা ভাংতি দিয়ে প্রতিদিন এক একজনের হাজার, বার শ’ টাকা করে আয় হয়। টাকার বাটা কম নেয়ায় সবাই তাদের কাছ থেকেই টাকা ভাংতি নেন।

বাণিজ্য মেলার এসএমই ফাউন্ডেশনের হিফস এগ্রো ফুড ইন্ডাষ্ট্রিজের ম্যানেজার নাঈম সারা বাংলাকে জানান, সাত্তার থাকায় মেলার ভাংতি টাকার কোন চিন্তা করতে হয়না। মুনাফাও কম নেয়। মানুষটাও ভালো।

সারাবাংলা/এআই/জেডএফ

টাকার ফেরিওয়ালা বাণিজ্য মেলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর