মালয়েশিয়ায় বাস নর্দমায়, ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জনের মৃত্যু
৮ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২২
মালয়েশিয়ায় একটি ফ্যাক্টরির বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নর্দমায় পড়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি রয়েছেন। এছাড়া, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩৩ জন। আহতদের সেরডাং ও কান্টিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো বাংলাদেশিরা হলেন— মো. রাজীব মুন্সী (২৬), মো. সোহেল (২৪), মহিন (৩৭), আল আমিন (২৫) ও গোলাম মোস্তফা (২২)। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকরা হলেন— আয়ু (২২), অজুরা আফ্রিন্তি (২২), রোজভিটা লোকা (২৩)। এছাড়া নেপালের জগারনাথ সিং(২৮) ও রামু চৌধুরী (৩৭) প্রাণ হারিয়েছেন এ দুর্ঘটনায়। নিহত অন্য এক নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় সময় রোববার (৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মালয়েশিয়ান পত্রিকা দ্য সান ডেইলি ও স্ট্রেইট টাইমসের খবরে বলা হয়, দুর্ঘটনায় আহত ৩৩ জনের মধ্যে সাত জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এর বাইরে মাত্র দু’জন মালয়েশিয়ান। বাকিরা ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের নাগরিক।
খবরে বলা হয়, ওই বাসের সবাই এম এ এস কার্গো কমপ্লেক্সের কর্মী। কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের পাশেই এই কার্গো কমপ্লেক্সটি অবস্থিত। সেখানকার কর্মীদের মধ্যরাতের শিফটের ডিউটিতে নিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। পুত্র নিলয় থেকে ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার পথেই গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
সেরডাং-এর অ্যাসিসট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জুলকিফি আদমাশ দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাসটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই বিদেশি শ্রমিক। দুর্ঘটনার কারণ জানতে বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান তিনি।
সেলাংগর ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের সুপারিনটেনডেন্ট আজমান শারিয়াত জানান, বাসটির ৪৩ বছর বয়সী চালকসহ ৯ জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। পরে সেরডাং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। পুত্রজায়া হাসপাতালেও আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আহতদের ১৬ জনকে পুত্রজায়া হাসপাতাল, ১৩ জনকে সেরডাং হাসপাতাল, চার জনকে ব্যানটিং হাসপাতাল ও একজনকে কাজাং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আজমান।
দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে, পুত্রজায়া হাসপাতাল থেকে আহত পাঁচ জন ও সেরডাং হাসপাতাল থেকে আহত চার জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জোন ফাইভের ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধার তৎপরতা দলের প্রধান মোহদ ফাহদহিল বলেন, তারা জরুরি সহায়তার জন্য রাত ১১টা ১৬ মিনিটে ফোন পান। দুর্ঘটনাস্থলে এসে বাসটির বিভিন্ন অংশ কেটে আহতদের উদ্ধার করতে হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএইচ