ঝড়ের নৃত্য দেখল রাজধানীবাসী
৮ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:২১
ঢাকা: ঝড়-বৃষ্টি যে হবে তা আগেই বলা হয়েছিল। তবে তা যে এই মাত্রায় সেইটা বোধহয় আন্দাজ করা যায়নি। রাতে উপগ্রহ জানিয়েছিল, বিকেল নাগাদ ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু বিকেল হতে না হতেই রাজধানীবাসী ঝড়ের যে তাণ্ডব দেখলেন তাতে এসব হিসাব আর গোনায় ধরা যাচ্ছে না।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালেই আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন বিকেলে কালবৈশাখী হতে পারে। ভারী বৃষ্টিরও সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রবণতায় আজ সকাল ৯টা থেকে আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে ভারী বর্ষণ এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। বিশেষ করে রংপুর,সিলেট ও বরিশাল বিভাগগুলোতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বেশি বলে জানান তিনি। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোর জন্য কোনো সতর্ক সংকেত না থাকলেও নদী বন্দরগুলোর জন দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
দুপুর ২টার দিকে পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়। তুমুল বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ। বিকেলের দিকে বৃষ্টি কিছুটা ধরে এলেও কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় প্রবল ঝড়। দমকা বাতাস আর ঝড়ের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। পড়েছে প্রচুর শিলাও।
এমন সময় বিপদে পড়েছিলেন পথচারীরা। বৃষ্টি আর শিলার আঘাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন রাস্তার পাশের কোনো ভবনের ছাউনির নিচে।
মনে রাখবেন, এই ঝড়ের দিনে আর যাই হোক কোনো গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা তো অহরহই ঘটছে। তাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
এদিকে ঝড়ের কারণে নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটি। সংস্থাটির উপপরিচালক আলমগীর কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিলে আমরা নৌ চলাচল বন্ধ রাখি। আজকে সকালেও এক ঘন্টা নৌ চলাচল বন্ধ রেখে ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার যাওয়ার পর আবার চালু করা হয়েছে। এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড় কেটে গেলেই নৌ চলাচল আবার স্বাভাবিক করা হবে।’
প্রতিবছরই এপ্রিল মাসে এমনটা হয়ে থাকে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/এসএইচ/এসএমএন