Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় এক ঘণ্টা বাড়লো


৮ এপ্রিল ২০১৯ ২১:০৮

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)। তবে মুখোশ, ভুভুজেলা, বিভিন্ন ধরনের বাঁশিসহ বিরক্তির উদ্রেত করে এমন কিছু নিয়ে অনুষ্ঠানে না আসার অনুরোধ করেছেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

সোমবার (৮ ‍জুলাই) চট্টগ্রাম নগরীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “আমরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন অবশ্যই সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সমস্ত অনুষ্ঠান শেষ করে। গতবার নির্ধারিত সময় ছিল ৫টা পর্যন্ত, এবার বলেছি, ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে। আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পহেলা বৈশাখের আয়োজন আনন্দের মাধ্যমে সমাপ্ত করতে পারব।“

এক ঘণ্টা সময় বাড়ানোর বিষয়ে নগরীর সিআরবিতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সদস্য ও উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের সহ-সভাপতি ডা. চন্দন দাশ সারাবাংলাকে বলেন, “এটি শুধু চট্টগ্রামে নয়, সারাদেশেই এক ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে আমরা অনুরোধ করেছি, ৬টায় অনুষ্ঠান শেষ করার কথা বলে সাড়ে ৫টা থেকে যেন তাগাদা দেওয়া না হয়।”

সিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “আমরা নগরবাসীকে অনুরোধ করব, কেউ যেন মুখোশ পরে অনুষ্ঠানে না আসেন। ব্যাগ নিয়ে না আসেন। যেগুলো ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের বাঁশি বা ভুভুজেলা, যেগুলো মানুষের বিরক্তির উদ্রেক করে, সেগুলো যেন না নিয়ে আসা হয়।”

বর্ষবরণের দু’টি মূল আয়োজন সিআরবি এবং ডিসি হিলকে ঘিরে চারস্তরের নিরাপত্তার কথা তুলে ধরে সিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব থাকবে, অন্যান্য সংস্থাও থাকবে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট, সোয়াতও স্ট্যান্ডবাই থাকবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানস্থলের আশে পাশে পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “এর মাধ্যমে আমরা আগত দর্শনার্থীদের পর্যবেক্ষণ করতে পারব। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেক দর্শনার্থীকেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ভেতর দিয়েই প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে পুলিশের তল্লাশি থাকবে, এরপর আর্চওয়ে গেট পার হতে হবে, সুইপিং টিম থাকবে। মঞ্চগুলো আগেই সুইপিং করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে ‘কোথাও কোথাও’ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

নিরাপত্তার কড়াকড়ি খুশি মনে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করে সিএমপি কমিশনার বলেন, “আমরা নগরবাসীকে জানাতে চাই, এটি একটি প্রাণের উৎসব। প্রাণের উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে আমরা সারাদিন পার করতে চাই। আনন্দ যেন কখনোই বিষাদে পরিণত না হয়, সেজন্য আমাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা যেন নগরবাসী খুশি মনে মেনে নেন।”

বর্ষবরণে নগরীতে এবার ৫০টির বেশি আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। এ সময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, উপ-কমিশনার (সদর) শ্যামল কান্তি নাথ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর