ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে বিকল্প ক্রেডিট কার্ড চায় বেসিস
৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:২৬
ঢাকা: ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বিকল্প ক্রেডিট কার্ড চালুর দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। একইসঙ্গে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য নীতিমালাও তৈরি করছে সংগঠনটি। এ প্রস্তাবনাটি শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
সম্প্রতি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মানি লন্ডারিং ইউনিটের সঙ্গে বেসিসের ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্যান্ডিং কমিটির এক বৈঠকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের নীতিমালা ও আলাদা ক্রেডিট কার্ডের দাবির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
বৈঠকে স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতৃত্ব দেন বেসিস সভাপতি আলমাস কবীর। অন্যদিকে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক থেকেই জানানো হয়, ডিজিটাল মার্কেটিং নীতিমালা ও আলাদা ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত প্রস্তাবনা শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে দেশে এখন কোনো নীতিমালা নেই। অর্থ লেনদেনে আমাদের ট্রাভেল কোটাও কম। যদি নিয়ম করে দেওয়া হয়, বেসিস সদস্য এবং সফটওয়্যার ও আইটি প্রতিষ্ঠানের যারা অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন তারা চাহিদা অনুযায়ী লেনদেন করতে পারবেন, তাহলে খাতটি আরও উপকৃত হবে। এক্ষেত্রে একেক জনের লিমিট একেক রকম হতে পারে। বর্তমানে আমাদের লিমিট ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত হলেও আমার চাই এটি বাড়ানো হোক। ৭০, ৮০ বা ১ লাখ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। এটি নির্ধারণ করবে ব্যাংক।
বেসিস সভাপতি বলেন, আমরা বলেছি— আমাদের আরেকটি ক্রেডিট লাইন দেওয়া হোক, যে কার্ড দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটের বিজ্ঞাপনের অর্থ লেনদেন করা যাবে। সম্পূর্ণ আলাদা ক্রেডিট লাইনের কথা আমরা ভাবছি। এর ফলে সরকার হিসাব রাখতে পারবে। সেখান থেকেই ভ্যাট নিতে পারবে। সবচেয়ে বড় কথা, সেপারেট ক্রেডিট লাইন হলে সরকারের কাছে সঠিক হিসাব থাকবে। সরকারের কাছে তথ্য না থাকায় সরকার ফেসবুক ও গুগলকে চাপও দিতে পারছে না। তখন বাংলাদেশে অফিস খোলার জন্য ফেসবুককে চাপ দেওয়াও সম্ভব হবে।
সারাবাংলাকে আলমাস কবীর আরও বলেন, আমাদের হিসাব অনুযায়ী ডিজিটাল এই মার্কেটটি প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার। ৫ বছরে সম্ভবত ২০০ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে এই খাতে। ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে বর্তমানে সরকার ৫ কোটি টাকার মতো রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতে এটি ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা হওয়া উচিত। বিকল্প ক্রেডিট কার্ড ও নীতিমালা তৈরি হলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অর্থের লেনদেনও হবে বৈধভাবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর