ফরিদপুর: অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির দায়ে সহকারী সাব রেজিস্ট্রারসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালত। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়ার সহকারী সাব রেজিস্টার রবিন্দ্র নাথ বিশ্বাস, জমি বিক্রেতা সভারঞ্জন রক্ত, রমেশ রক্ত, সুনীল রক্ত, জমি গ্রহীতা প্রমানন্দ মল্লিক, সাক্ষি নূরুজ্জামান হাওলাদার, বিল্পব দত্ত ও আলী আকবর।
রায়ে দণ্ডবিধির ৪৬৭/১০৯ ধারা মোতাবেক সহকারী সাব রেজিস্ট্রার রবিন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদণ্ড, জমি বিক্রেতাদের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ৪৬৭ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও সাক্ষিদের দণ্ডবিধির ৪৬৭/১০৯ ধারা মোতাবেক ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় সহকারী সাব রেজিস্ট্রার এবং জমি গ্রহীতা প্রমানন্দ মল্লিক পলাতক ছিলেন। তবে অন্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
ফরিদপুরের দুদকের পিপি মজিবুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ৫৩ নং মৌজার আর এস ৪২৭ নং খতিয়ানের ৩৮৮ নং দায়ের ৩২ শতাংশ জমির মালিক হরিপদ দত্ত। তিনি দীর্ঘ দিন অনুপস্থিত থাকায় এসএ রেকর্ডে অন্য নামে লিপিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ওই জমি সরকারি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে গন্য হয়। কিন্তু তারপরেও গত ৬/৬/১২ সালে ২০৬৬ নং দলিলের মাধ্যমে উক্ত জমির ২২ শতাংশ নিজের নামে দলিল করে নেন আসামিরা।
এ ঘটনায়, গত ২০১৪ সালে ১১ মার্চ হরিপদ দত্তের নাতনি সবিতা রানি বাদি হয়ে নয়জনকে আসামি করে কোটালিপাড়া থানায় জাল দলিলের অভিযোগে মামলা করেন। পরবর্তী ফরিদপুরে দুদক মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দেয়।
সারাবাংলা/এসএমএন