কর্ণফুলীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ
৯ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৩৬
ঢাকা: কর্ণফুলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উচ্ছেদ অভিযান শেষে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতেও বলা হয়েছে।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এই নির্দেশনা দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি সাংবাদিকদের জানান, কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) পক্ষে আমরা আজ আবেদন করেছিলাম। এখনো যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সেগুলো মূলত বন্দরের জায়গায়। এই জন্য আমরা একটি নির্দেশ প্রার্থনা করেছিলাম, বন্দরের চেয়ারম্যানকে যেন নির্দেশনা দেওয়া হয়। আগামী ১৯ মে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালে গণমাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সব প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করে। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি ১১ দফা নির্দেশনা দেন। রায়ের অনুলিপি পাঠানো হলেও বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেননি বিবাদীরা। গত বছরের ২৫ জুন সংশ্নিষ্টদের আইনি নোটিশও পাঠানো হয়। বিবাদীরা নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আবেদন করা হয়।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় শুনানি শেষে গত বছরের ৩ জুলাই আদালত রুল জারি করেন। তাতে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
চট্টগ্রামের মেয়র ছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
সারাবাংলা/এজেডকে/এটি