Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিআরটিএ’র ৫ কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দুদকের ৭ অভিযান


৯ এপ্রিল ২০১৯ ২০:৪০

ঢাকা: দেশব্যাপী ছয় জেলায় বিআরটিএ’র পাঁচ কার্যালয়সহ মোট ছয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুনীর্তি দমন কমিশন (দুদক)। ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান, লাইসেন্স নবায়ন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ডিজিটাল নাম্বার প্লেট প্রদান ইত্যাদি নানাবিধ সেবা প্রাপ্তিতে ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব অভিযান চালায় দুদক।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য।

প্রনব জানান, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের তত্ত্বাবধানে দুদক প্রধান কার্যালয়, হবিগঞ্জ, বগুড়া, বরিশাল ও টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় হতে মঙ্গলবার একযোগে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সেবাপ্রদানের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি, অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও বিশৃঙ্খলার প্রমাণ পায় দুদক টিম।

অভিযান শেষে রাজধানীর বিআরটিএ, ইকুরিয়া কার্যালয়ে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) নূরুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ, মোটরযান পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান, উচ্চমান সহকারী ছগির আকন্দ, অফিস সহকারী মোঃ আজিম ও আনসার সদস্য সৈয়দ হোসেন-কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে বগুড়া বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চলাকালে ৪ দালালকে সেবাপ্রার্থীদের নিকট হতে অনৈতিকভাবে অর্থ গ্রহণকালে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে। একই ধরণের অপরাধে হবিগঞ্জে দুদক টিমের অভিযানকালে এক দালালকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান ও একজনকে জরিমানা করেছে ভ্রমমাণ আদালত।

প্রনব আরও জানান, অনুরূপভাবে বরিশাল ও টাঙ্গাইলের বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক টিম। এসময় দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে দালালরা পালিয়ে যায়।

এছাড়া, রোগীদের হয়রানি ও যথানিয়মে ঔষধ প্রদান না করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশিপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অভিযান চালায় দুদক। তাদের টিম সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে উপসহকারী পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিককে দফতরে অনুপস্থিত পায়। সেসময় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে উপস্থিত রোগীরা তাদের কাছে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন। ওই দু’জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।

মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা

দুদক কর্মকর্তা আরও জানান, পাবনায় ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আত্রাই নদী খননের কাজে উত্তোলিত মাটি নদীর ৪০০ ফুট দূরে ফেলার নির্দেশনা অনুসৃত হচ্ছে না বলে অভিযোগ পায় দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন – ১০৬) পাওয়া এমন এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সেখানে অভিযান চালিয়েছে দুদক পাবনা জেলা কার্যালয়ের একটি টিম।

প্রনব জানান, অভিযানকারী টিম দেখতে পায়, যথানিয়মে কাজ না করে নদীর পার্শ্ববর্তী স্থানেই মাটি ফেলা হচ্ছে। এ অনিয়মের অভিযোগে উক্ত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। দুদক টিম এ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইপূর্বক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন কমিশনের নিকট উপস্থাপন করা হবে।

সারাবাংলা/এসজে/আরএ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর